নিজস্ব সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার পাশাপাশি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন নীতি অনুসরণ করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। সাংগঠনিকভাবে কোনো অনিয়ম, দূর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। যেকোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া মাত্রই নেয়া হচ্ছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা স্বপ্রণোদিত হয়ে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন, তা এখনও চলমান আছে। ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধ করার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগে নেই। দল কখনও কোনো অপরাধীকে রক্ষা করার ঢাল হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধীই।।গুটি কয়েক মানুষের অপরাধের জন্য সরকারের অনন্য অর্জনগুলো ম্লান হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় ব্যক্তির, দলের নয়।
সম্প্রতি দুটি জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি কেন্দ্র হতে তৃণমূলের জন্য দলীয় প্রধানের একটি বার্তা। দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাকে এখন গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। সততা, নিষ্ঠা এবং দলের প্রতি ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ জেলা থেকে কেন্দ্রে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
কাদের বলেন, পুরো দেশে সাংগঠনিক নেতৃত্বের ওপর দলীয় সভাপতির দৃষ্টি রয়েছে। শেখ হাসিনার কাছে সকলের পারফরম্যান্সের রিপোর্টও রয়েছে। যারা বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, দলীয় দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কার্যক্রমও গুরুত্ব সহকারে মনিটর করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ কারো ভাগ্যবদল ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয়। দলের প্রতি ত্যাগ, সততা ও নিষ্ঠা থাকলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তৃণমূল থেকে সময় মতো যে কাউকে যেকোনো দায়িত্ব দল এবং সরকারে দিতে পারেন।