নিউজ ডেস্ক : মাত্র চার ঘণ্টায় দেশের ছয় জেলায় বজ্রপাতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নেত্রকোনায় নয়জন, ফরিদপুরে চারজন, মানিকগঞ্জে দুজন, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে একজন করে মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর,
নেত্রকোনা: নেত্রকোনার চার উপজেলায় হাওরে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খালিয়াজুরীতে চারজন কৃষক, কেন্দুয়া উপজেলায় দুজন, মদনে দুজন ও পূর্বধলায় এক শিশু রয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতে খালিয়াজুরীতে পাঁচজন ও মদনে চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- কেন্দুয়ার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো. বায়েজিদ মিয়া ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুণ্ডলী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান, খালিয়াজুরীর মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক অছেক মিয়া, একই গ্রামের আমির সরকারের ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া, বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির হোসেন, মদন উপজেলার পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে হাফেজ মো. শরীফ ও একই গ্রামের আব্দুল মন্নাফের ছেলে মাওলানা আতাবুর রহমান, পূর্বধলার দলামূলগাঁও ইউনিয়নের টাকলি গ্রামের ইছাক মিয়ার ছেলে শিশু জুনাইদ এবং বাজিতপুর উপজেলার সুতারপাড়া দীঘিরপাড় গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে নৌ শ্রমিক বাছন মিয়া।
ফরিদপুর: জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৪টা ও সাড়ে ৫টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার পশ্চিম গঙ্গাবর্দী, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা ডাঙ্গী মহল্লায়, সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ও মধুখালী উপজেলার চাঁদপুরে এসব ঘটনা ঘটে।
ধান নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গী মহল্লায় বজ্রপাতে মারা যান আনোয়ারা বেগম। তিনি মোল্লা ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কাবুল শেখের স্ত্রী।
এদিকে, বিকেল ৪টার দিকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফরিদপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গঙ্গাবর্দী মহল্লায় বজ্রপাতে কৃষক কবির মোল্লার মৃত্যু হয়। এছাড়া বিকেলে বজ্রপাতে সদর উপজেলার নথ চ্যানেল ইউনিয়নে দুলাল খান নামে এক কৃষক মারা যান।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মধুখালী উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে পাটক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কবির শেখ নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের নবিন শেখের ছেলে।
মানিকগঞ্জ: বিকেলে বজ্রপাতে জেলার সদর উপজেলার গিলন্ডে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে এক স্কুলছাত্র ও পৌরসভার পৌলী এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুজন।
মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার গিলন্ড গ্রামের মাসুদ মোল্লার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র আসিফ ও ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজমত আলী। আহতদের মধ্যে অনিক নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ: জেলার তারাকান্দা উপজেলায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে আতিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো একজন। মৃত আজিজুল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের খলিশাজান গ্রামের আজমত আলীর ছেলে।
কিশোরগঞ্জ: জেলার নিকলীতে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. আরিফুল ইসলাম নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরিফুল গুরুই ইউনিয়নের বেতি নোওয়াগাঁও এলাকার মিয়া চাঁনের ছেলে।
সুনামগঞ্জ: দোয়ারাবাজা উপজেলায় বজ্রপাতে আবু তাহের নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।