বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

৭ দিনের কঠোর লকডাউনে সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ মে, ২০২১
  • ২৩৫ বার পঠিত
৭ দিনের কঠোর লকডাউনে সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ফটো সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে কঠোর লকডাউন। চলমান কঠোর লকডাউনে সারাদেশের সঙ্গে একরকম বিছিন্ন হয়ে গেছে আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

বুধবার (২৬ মে) কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে জেলার বাইরে থেকে কোনো যানবহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এবং চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পাশের জেলা নওগাঁ ও রাজশাহীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।

দ্বিতীয় দিনেও প্রশাসনের তৎপরতায় সড়ক ফাঁকা রয়েছে। বুধবার (২৬ মে) জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের নীরবতা। সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে শহরের বিপণিবিতান ও দোকানপাট। জেলা থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস।এমনকি পণ্যবাহী যানবহন ছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটেও কোনো গণপরিবহন চলাচল করছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য ছাড়া সকল দোকানপাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, গতকালের মতো মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১২টি দল জেলার ৫ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করা হচ্ছে জরিমানা।

এছাড়াও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে জেলা পুলিশ। জেলা শহরের ২৭টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানোর পাশাপাশি টহল দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখতে কাজ করছে পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রবেশ বা চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সঙ্গে নওগাঁ জেলার সংযোগস্থল গোমস্তাপুর উপজেলার আড্ডাবাজার ও রাজশাহীর সঙ্গে সংযোগস্থল দারিয়াপুরে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কাউকে ঢুকতে বা জেলা থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।জরুরি সেবা ছাড়া ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সকল যানবহন। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কের কোথাও তেমন গাড়ির চাপ নেয়। অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কাউকে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে নয় বরং স্থানীয় সংক্রমণেই এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য দায়ী। এখন পর্যন্ত জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করছি, ৭ দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সংক্রমণের হার কিছুটা কমে আসবে।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, গতকালের মতো বুধবারও মানুষকে ঘরে রাখতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। সকলের সচেতনতাই কঠোর লকডাউন শেষে আবারও আমরা করোনামুক্ত জেলা হিসেবে গণ্য হতে সক্ষম হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com