অনলাইন নিউজ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার নানাভাবে ফাঁদে ফেলে ২০১৮ সালের মতো বিএনপিকে আবারও নির্বাচনের মাঠে নামানোর চেষ্টা করবে। আসলে এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে তারা নির্বাচনে যাবে কি-না? শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে না নিয়ে নূরুল হুদাকে রেখে নির্বাচনে গেলে একটি ফেরেশতা এনেও যদি নির্বাচন করানো হয় তাহলেও সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবার কোনো উপায় নেই।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, জনগণের দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এই পদত্যাগে যদি সব সমস্যার সমাধান হয় তাহলে প্রতিটি সমস্যা নিয়ে আমরা কেন কথা বলব। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করে খুকুমণি-পরীমনির মতো ইস্যু কয়েকদিন পরপর সামনে নিয়ে আসছেন। এটা বুঝতে হবে না আমাদের। আর আমরা সব বুঝেও গেছি।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা দিতে পারবেন, কোন আইনে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেননি? কোন আইনের বলে? স্বাধীনতার উত্তরকালে ফাঁসির আসামির জামিন হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজার আসামির তো প্রায়ই হয়। যেনতেন আসামিরও জামিন হয়, খালেদা জিয়ার জামিন হয় না কেন?
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঘরে বসে করোনায় না মরে রাজপথে গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়ে ইতিহাসের বুকে নিজের নামটা লিখে যাই। চাকরি করলে আরো ১২ বছর আগে বড় সচিব থেকে অবসরে যেতাম, ব্যবসা করলে ওই দরবেশের মতো আমরাও ব্যবসায়ী হতাম। আমরা আসছি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য। কার কত টাকা হয়েছে এতে আমাদের কোনো হিংসে নেই। সময়মতো হিসেব দিতে হবে টাকাটা কিভাবে হলো। কোন পথে হলো। বড়লোক হওয়াটা অপরাধ নয়, কারণ বড় লোক কি করে হলেন, এটাকি পকেট মেরে হইলেন, নাকি ছিনতাই করে হিলেন নাকি প্রতারণা করে হইলেন সেটা দেখার বিষয় রয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু,সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সরোয়ার, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।