আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ( বিএডিসি) বীজ ডিলারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমাণের এসব আলুবীজ রোপণ করে কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসির বীজ ডিলার খাবার আলু রিপ্যাক করে বীজ আলু বলে বিক্রি করায় তারা প্রতারিত হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতিপুরুণ ও ডিলারের শাস্তির দাবিতে ৩০ ডিসেম্বার বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগন্জ বাজারের বিএডিসির অনুমোদিত বীজ ডিলার হাফিজুর রহমানের কাছে থেকে আলুবীজ এগ্রেড-২৬০০ টাকা ও বিগ্রেড-২৪০০ টাকা ব্যাগ প্রতি কেজি ৬০ টাকা দামে কিনে রোপণ করেছেন তানোর উপজেলার সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক।কিন্ত্ত প্রায় দেড়শ” বিঘা জমিতে তেমন আলু গাছ গজায়নি এবং গজানো আলু গাছ ফেঁপে ও পাতা কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে আলু গাছ। প্রতিরোধে বালাইনাশক ব্যবহার করেও প্রতিকার হচ্ছে না।এবছর এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। কৃষকদের ভাষ্য খাবার আলু রিপ্যাক করে তাদের কাছে বিক্রি করেছে। এদিকে গতকাল সরেজমিন কথা হয় উপজেলার সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর গ্রামের আলু চাষী আব্দুল জব্বারের পুত্র সেলিম রেজার (৩৫) সঙ্গে তিনি বলেন, এবছর তিনি ডিলার হাফিজুর রহমানের কাছে থেকে বিএডিসির আলু বীজ কিনে ৯ বিঘা জমিতে রোপণ করেছেন।কিন্ত্ত নিম্নমাণের বীজ হওয়ায় গাছ গজায়নি। একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র দুলাল ২৪ বিঘা, মৃত বসির উদ্দিনের পুত্র নাসির ১০ বিঘা, আকবর শাহর পুত্র শফিকুলের ৩ বিঘা, ময়েজ আলীর পুত্র মুজাহার আলীর ৫ বিঘা ও বাস্তুল্লাহর পুত্র শহিদুলের ৫ বিঘাসহ কম পক্ষে ১৫০ বিঘা জমির আলুখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে অধিকাংশ আলু চাষি ব্যাংক, এনজিও এমনকি উচ্চ সুদে দাদন নিয়ে আলু চাষ করে ডিলারের প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরুণের জন্য সংশ্লিস্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএডিসির বীজ ডিলার হাফিজুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আলু বীজ রোপণের পর চারা না গজালে সেই দায় তার নয়, কারণ তারা যেই পায় সেটাই বিক্রি করেন।