নদীর কোনো জায়গা দখলের অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক।
তিনবারের সংসদ সদস্য আসলাম। গত কয়েক বছর ধরেই তার বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদী দখল করে গড়ে তুলেছেন, পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ইকোনমিক জোন। সম্প্রতি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নেতৃত্বে সরকারি আরো ৮টি সংস্থাকে নিয়ে করা যৌথ জরিপ এবং শুনানি শেষে এমন প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কাগজে কলমে পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ইকোনমিক জোনের ৫১ একর জায়গা থাকলেও বাস্তবে দখলে রয়েছে ৫৪ একর। যার মধ্যে ১৩ একর জায়গা পুরোপুরি নদীর মধ্যে। আর তীরভূমি ও বন্দরসীমা মিলে রয়েছে প্রায় ৮ একর। বাকি ৩৩ একর জায়গা রাজউকের ড্যাপের বন্যা প্রবন বা ফ্ল্যাড ফ্লো জোন। যেখানে কোন স্থাপনা করা বেআইনী।
তবে এমপি আসলামের দাবি, নদীর কোনো জায়গায়ই দখলে নেননি তিনি। আহবান জানান, ফের যৌথ জরিপ করার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতীয় নদী কমিশনের জরিপ করার কোনো অধিকার নাই। তাদের রিপোর্টও ভিত্তিহীন। ঘোষণা দেন, আদালতে তিনি নদী দখলদার প্রমাণিত হলে, জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন।
এই জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেন, তার জনপ্রিয়তার কারণে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।