প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা।রোববার পৃথক শোক বার্তায় তারা এ শোক জানান।শোকবার্তায় ওবায়দুল কাদের প্রয়াত রাবেয়া খাতুনের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, মহিয়সী নারী রাবেয়া খাতুনের সৃজনশীল সাহিত্যকর্ম বাঙালি জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।ড. মোমেন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক জয়ী কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।মন্ত্রী প্রয়াত রাবেয়া খাতুনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ।কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দু:খপ্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের মাতা ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণকারী রাবেয়া খাতুন সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের জন্য শত গ্রন্থের প্রণেতা রাবেয়া খাতুন লেখালেখির পাশাপাশি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির কাউন্সিল সদস্য, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের গঠনতন্ত্র পরিচালনা পরিষদ, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের বিচারক প্যানেল এবং শিশু একাডেমির কাউন্সিল সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। সাহিত্য জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক ছাড়াও বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জনকারী রাবেয়া খাতুন তার অসামান্য লেখনীর মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।শোক বার্তায় মন্ত্রী জানান, “বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধ ধারায় রাবেয়া খাতুনের ছিল অবাধ বিচরণ। তার সাহিত্য চর্চার বড় একটি অংশ জুড়ে ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ। বাংলা সাহিত্য অঙ্গনের এ উজ্জ্বল নক্ষত্র বাঙালি হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে থাকবেন।”মন্ত্রী প্রয়াত রাবেয়া খাতুনের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। শোকবার্তায় শিল্পমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত রাবেয়া খাতুনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।ছিয়াশি বছরে মারা যাওয়া রাবেয়া খাতুন সাহিত্যের সকল শাখায় সফলভাবে বিচরণ করেছেন। দীর্ঘ জীবনে তিনি বাংলা সাহিত্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য পুরস্কারেও।বাংলা সাহিত্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রাবেয়া খাতুন। ১৯৩৫ সালে বিক্রমপুরে জন্ম তার। লেখালেখির পাশাপাশি শিক্ষকতা এবং সাংবাদিকতাও করেছেন।উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতেও বিচরণ রাবেয়া খাতুনের। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। ‘মধুমতি’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টিও প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে।তার স্বামী প্রয়াত এটিএম ফজলুল হক ছিলেন দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম পত্রিকা সিনেমার সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক। বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালকও তিনি।১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। তাদের চার সন্তানের মধ্যেে রয়েছে, ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী। বাংলা একাডেমি, চলচ্চিত্র জুরী বোর্ড, লেডিস ক্লাব, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, মহিলা সমিতিসহ অসংখ্য সংগঠনের সাথে ছিলেন রাবেয়া খাতুন।প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন রোববার বিকালে বাধ্যর্কজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। সোমবার দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে রাবেয়া খাতুনের মরদেহ রাখা হবে। এরপর বিকেল ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে ।