গিয়াস উদ্দিনের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান, গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘদিন ওই এলাকায় নিজের গ্যারেজে নতুন ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা নির্মাণ ও এর বৈদ্যুতিক চার্জের কাজ করতেন। রাতে সে একাই ওই গ্যারেজে ঘুমাতেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে চালকরা চার্জ দেয়া অটোরিকশা আনতে যান। এসময় গ্যারেজে গেট খোলা পেয়ে ভেতরে যান এবং গিয়াস উদ্দিনের শরীরের উপরের অংশ কম্বল দিয়ে ঢাকা ও পা খোলা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। পরে বাড়ির লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
ঘটনাস্থল শ্রীপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম, পুলিশের ক্রাইমসিন ইউনিট, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ও র্যাব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছেন।
পুলিশের ক্রাইমসিন ইউনিটের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন জানান, নিহতের মাথায় ভোঁতা ও ধারালো অস্ত্রের তিনটি আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একাধিক হত্যাকারী যুক্ত থাকতে পারে। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র সরকার জানান, ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির একটি রক্ত মাখা ফুলহাতা শার্ট উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।