কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকদের জন্য অত্যাধুনিক ক্রুজশিপ সংযোজন করেছে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স। কাল রবিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্যটক পরিবহনে যুক্ত হবে আধুনিক এ জাহাজটি। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করবে এমভি বে-ওয়ান নামের বিলামবহুল এই জাহাজটি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এমভি বে-ওয়ান জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪০০ ফুট ও প্রস্থ ৫৫ ফুট। এর গভীরতা ৫ দশমিক ৪ মিটার। জাহাজটির ধারণ ক্ষমতা ৫০১৯ মেট্রিক টন, জাহাজটিতে মোট ১১২০০ বিএইচপি সম্পন্ন মেইন ইঞ্জিন রয়েছে। যা দিয়ে জাহাজটি প্রতি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। তবে সেন্টমার্টিন রুটে এটি ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলবে। উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ মোকাবেলায় জাহাজটিতে ফিন স্ট্যাবিলাইজার সংযুক্ত রয়েছে।
জাপানের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি জাহাজটিতে আছে কেবিন, প্রেসিডেন্ট স্যুট ও সাধারণ আসন মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার আসন। জাহাজের মধ্যে যাত্রীদের জন্য রয়েছে রেস্টুরেন্ট। জাহাজটি পরিচালনায় নাবিক রয়েছে ১৭ জন। অন্যদিকে যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবে আরো ১৫০ জন ক্রু। স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ, রাত্রিযাপন ও বিভিন্ন স্বাদের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (এডমিন) কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাহাজটির আগে নাম ছিল ‘সিলভিয়া মারু’। সেটি আমরা কিনে নেওয়ার পর নাম হয়েছে ‘এমভি বে ওয়ান’। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে চলবে এ জাহাজ। মানসম্পন্ন ও বিলাসবহুল যাত্রীসেবার জন্য এ জাহাজ আনা হয়েছে।
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগরে জাহাজটির জন্য নতুন একটি জেটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, কিছুদিন আগে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের অপর একটি জাহাজ ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে প্রথম সরাসরি যাত্রী পরিবহন শুরু করেছিল। সেটিও যুক্ত থাকবে যাত্রীসেবায়।
নগরীর পতেঙ্গায় কাল রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জাহাজটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। পরদিন ২১ ডিসেম্বর সকাল নয়টায় এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের মাধ্যমে অতিথিদের কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।