জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় চিকিৎসকদের দ্বিতীয় দিনে কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। কোন ঘোষণা ছাড়াই চিকিৎসকদের কর্মবিরতি থাকায় জরুরি সেবা ব্যতিত সকল সেবা বন্ধ রাখায় দূর দূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা এই ভোগান্তিতে পরে রোগী ও স্বজনরা। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীরা বঞ্চিত হয়েছেন। এতে ভর্তিতে থাকা রোগীদের দুর্ভোগও চরমে পৌঁছেছে। অনেক রোগী সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক এম আবু তাহের জানান, জামালপুর সদর হাসপাতালে শহরের ইকবালপুর এলাকার গুরুতর অসুস্থ করিমন (৬৪) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে জামালপুর সদর হাসপাতালে মারা যান। চিকিৎসার অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে দু’জন চিকিৎসকসহ ইন্টার্নি চিকিৎসক গুরুতর আহত হন। এর জের ধরে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে রহিরাগত লোকজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ২৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার ইসলামপুর উপজেলায় রোগী দেখা থেকে বিরত থাকেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক এম আবু তাহের বলেন, সদর হাসপাতালে দু’জন চিকিৎসকসহ ইন্টার্নি চিকিৎসক গুরুতর আহতের ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি। তবে আমাদের হাসপাতালে সাময়িক সমস্যা হলেও জরুরি বিভাগের সেবা চলমান রয়েছে। মেরাজুল ইসলাম রবিন