অক্সফোর্ডের তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন জানুয়ারি মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক।বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের দৃষ্টিতে সবচেয়ে কার্যকরভাবে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়া দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২০ নম্বরে থাকা উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়া মোটামুটি শেষ। ভ্যাকসিন আসার একটা সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছিল জানুয়ারির শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু অনুমোদনের প্রক্রিয়া দ্রুত হওয়ায় আরও আগে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়ায় এখন ভারতও অনুমোদন দিয়ে দেবে। হয়ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও অনুমোদন দিয়ে দেবে। সিরাম ইন্সটিটিউট আমাদের যেভাবে বলেছে তাতে আমরা আশা করছি, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে বা তার আগেও আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যেতে পারি। যেহেতু এর অনুমোদন প্রক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি হচ্ছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। এ কারণেই এই মহামারী মোকাবেলায় সফল দেশগুলোর তালিকায় ২০তম স্থানে বাংলাদেশকে রেখেছে ব্লুমবার্গ। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। করোনার কারণে সারা দেশ লকডাউনে চলে গেছে। সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো লকডাউন ছিল না। কারও কোনো ছুটি ছিল না।স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিসিপিএসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মুবিন খান, স্বাচিপের সভাপতি ডা. এমএ আজিজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।