বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বব্যাপি আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবের কারনে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ আমাদের বাংলাদেশ।এর বিরুপ প্রভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ তথা উত্তরাঞ্চলে একদিকে যেমন বৃষ্টিপাত কমেছে, অন্যদিকে বজ্রপাতের কারনে বেড়েছে প্রানহানীও। এজন্য এ এলাকার মানুষকে প্রচুর গাছ লাগানোর পাশাপাশি আরও সচেতন হতে হবে। রবিবার(৩০ অক্টোবর) দিনব্যাপি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার মিলনায়তনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আয়োজনে আবহাওয়া জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক এক সেমিনারে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।।
১৯৭০ সাল থেকে অদ্যবদি বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারনে ৪ টি সিজন গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ও বসন্ত বিরাজ করছে।বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমান একদিকে যেমন কমেছে,তেমনি অসময়ে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি বেড়েছে।সেসাথে বেড়েছে বজ্রপাতের পরিমান।এতে করে প্রাণহানিও বেড়েছে।
পৌর মেয়র সৈয়দ মুনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোঃ বজলুর রশিদ বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে চলতি বছর। সেসাথে বেড়েছে শিলাবৃষ্টি সহ অসময়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ।এজন্য আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এবং আবহাওয়া সম্পর্কে ব্যপক জ্ঞান রাখতে হবে।তবেই এলাকার ফসল সহ বিভিন্ন সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর উর্ধ্বতন যোগাযোগ প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বজ্রপাতের বিভিন্ন কারনগুলো তুলে ধরে বলেন, প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার মানুষ বাংলাদেশে বজ্রপাতের কারনে মারা যাচ্ছে।আর সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলে।তাই আমাদের আবহাওয়া বার্তা অনুসরন করার পাশাপাশি বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হবে।
শিবগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ মুনিরুল ইসলামের সভাপতিতে জনসচেতনতামূলক ঐ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এ সময় পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণও উপস্থিত ছিলেন।