বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

এসপি বাবুল আক্তার ৫ দিনের রিমান্ডে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ মে, ২০২১
  • ৩৯২ বার পঠিত

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া নতুন একটি মামলায় নিহতের স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১২ মে) দুপুরে বাবুল আখতারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে বন্দরনগরীর পাঁচলাইশ থানায় নতুন মামলাটি দায়ে করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শ্বশুড়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়।

চট্টগ্রাম পিবিআই সূত্র জানিয়েছে, মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন এদিন সকালে আদালতে জমা দেয়া হয়। এরপর নতুন মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সংস্থাটির প্রধান উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন, এ মামলাটি কতদিন ঝুলে থাকবে। সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়। মামলার বাদীকে ইচ্ছা করলেই গ্রেপ্তার করা যায় না। বাদীকে গ্রেপ্তার করতে হলে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। খুলশী থেকে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিতে আজই কোর্টে যাচ্ছে পুলিশ।

উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, ঘটনাস্থলে (মিতু হত্যার) মুসাকে দেখা যায়। মুসা নিয়মিত বাবুল আক্তারের বাসায় যেতেন। তার অনুপস্থিতিতে তিনি বাসায় বাজারও করে দিতেন। পিবিআই জানার চেষ্টা করেছে, মুসা সোর্স ছিলেন কি-না। এটাই পিবিআই প্রমাণের চেষ্টা করেছে। মিতু হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে জঙ্গি কার্যক্রমে আহত হন বলে দাবি করেন বাবুল। মৃত্যুর পর তার যে আচরণ, তা ছিল আপনজন হারানোর মতো। তাই তার কথা সবাই বিশ্বাস করেছিলেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বাবুলকে ঢাকায় ডাকা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার বাবুল জানান, তিনি সোমবার ৯টায় আসবেন। বাবুল পিবিআইকে কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। বিষয়গুলো আইজিপিকে জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানানো হয়।

তিনি বলেন, নড়াইলে এক ব্যক্তিকে আমরা পর্যবেক্ষণে নিই। তার নাম গাজী আল মামুন। বাবুলের আরেক বন্ধু সাইফুল হককেও পিবিআই ডাকে। দু’জনই বাবুলের ঘনিষ্ঠ। তারা সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতে পুরোনো মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাবুলের স্ত্রী মিতুকে। সে সময় পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সদর দফতরে যোগ দিয়ে ঢাকায় ছিলেন বাবুল।

এর আগে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পরদিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বাবুল। এর বাইরে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com