নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে আরো ৪৫ জনের প্রাণ। এনিয়ে দেশে করোনা মহামারিতে মোট ১১ হাজার ৮৭৮ জনের মৃত্যু হলো। গত এক বছরে যতো মানুষ করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে।
শনিবার (৮ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ২৮৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত মার্চ মাস থেকেই দেশে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। বিগত ৫৫ দিনে এটিই সর্বনিম্ন আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত দাঁড়ালো ৭ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জনে।
তবে শনিবার নাগাদ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার হার কমে ৮.৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা একদিন আগেই ছিল ৯.৮৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বশেষ বাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ২ হাজার ৪৯২ জন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জনে।
আজকের বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪৪৩ টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৭০৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১৯ জন। তাদের ৩৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এদের বয়স বিবেচনায় ২২ জন ষাটোর্ধ্ব। বাকিদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, সাতজন ৪১ থেকে ৫০ বছরের এবং দুজন ৩১-৪০ এবং একজন ০-১০ বছরের মধ্যে ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৮৮৩ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৫৮৯ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ২২৪ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টিকা সংকটের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের প্রয়োগ বন্ধ করে সরকার। প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে ১৪ লাখ ডোজের ঘাটতি রয়েছে। নতুন করে প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হলে তখন নিবন্ধনও চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর মৃত্যুর খবর জানায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম ও মৃতের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার।