নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে। আগামী ২ জুন এই অধিবেশন শুরু হওয়ার পর সেটা ১০ কার্য দিবসের মতো চলতে পারে। এবারের অধিবেশনেও প্রতিদিন সংসদ সদস্যদের উপস্থিতি সীমিত রাখা হবে। এর আগে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে করোনা পরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষার পর কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে অংশ নিতে হবে।
আগামী ২ জুন বিকেল ৫টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশন জাতীয় সংসদ ভবনে শুরু হবে। পর দিন ৩ জুন আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বাজেট উপস্থাপন করবেন। এরপর বাজেটের ওপর সংসদ সদস্যদের আলোচনা শুরু হবে। সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পর নতুন অর্থবছর শুরুর আগে অর্থাৎ ৩০ জুনের মধ্যে তা পাসের বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বাজেট পাসের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। সংসদ সচিবালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংসদের এ অধিবেশন সর্বোচ্চ ১০ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ হবে। বাজেট উপস্থাপনের পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর জাতীয় সংসদ সদস্যদের আলোচনা এই সময়ে মধ্যে শেষ করার জন্য সংক্ষিপ্ত করা হবে আলোচনার জন্য প্রত্যেক সদস্যের নির্ধারিত সময়। অধিবেশন শুরুর পর মাঝে মাঝে বিরতি দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দুই তিনদিন চলার পর আবার চার পাঁচ দিন অধিবেশনে বিরতি দেওয়া হবে। এভাবে কয়েক দফায় বিরতি দিয়ে অধিবেশন চালানো হবে।
সাধারণত বাজেট অধিবেশন শুরুর পর শুধু শুক্র ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতি দিনই টানা অধিবেশন চলতে থাকে। কোনো সময় দুই বেলা অধিবেশন চালানো হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরও বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হয়। একই পরিস্থিতির কারণে এবারো অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী ২৯ মে থেকে সংসদ সদস্যদের কোভিড টেস্ট করা শুরু হবে। জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে পর্যায়ক্রমে এমপিদের কোভিড টেস্ট করা হবে। প্রতি দিনের জন্য তালিকা করে আগের দিন সংসদ সচিবালয় থেকে এমপিদের ফোন করে করোনা টেস্টের তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রতিদিন অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিও সীমিত করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দূরত্ব বজায় রেখে যাতে অধিবেশন কক্ষে সদস্যদের আসনে বসা নিশ্চিত করা যায় সে জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতি দিন ৭০ থেকে ৮০ জন সংসদ সদস্য যাতে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারেন সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগে থেকে তালিকা তৈরি করে সেই অনুযায়ী সংসদ সদস্যদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বাজেট অধিবেশনসহ অন্য অধিবেশনগুলোও এভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সংক্ষিপ্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী লিটন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজেট অধিবেশনটিও সংক্ষিপ্ত করা হবে। অধিবেশন ১০ থেকে ১২ কার্যদিবসের মতো চলতে পারে। সংসদ সদস্যরা করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ হলে অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ সংসদ সদস্য যাতে অধিবেশনে উপস্থিত থাকেন সে ব্যবস্থা করা হবে।