শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন

যে সব ৩৪ জেলায় যাচ্ছে ২৬ লাখ টিকা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২৪২ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের টঙ্গীর বেক্সিমকো কারখানায় রাখা করোনা ভাইরাসের ২৬ লাখ টিকা নির্ধারিত জেলায় পাঠানো শুরু করেছে ওষুধ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কড়া নিরাপত্তায় করোনা ভাইরাসের টিকা পাঠানো শুরু করেছে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলশ গণমাধ্যকে জানিয়েছেন, ভারত থেকে আসা ৫০ লাখ টিকা ওই কারখানায় সংরক্ষিত ছিল। বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ২৬ লাখ ৪ হাজার ডোজ টিকা দেশের ৩৪টি জেলা পাঠানো শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফ্রিজার গাড়ি করে টিকাগুলো পাঠানো হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ৩৪টি জেলা প্রশাসনের কাছে টিকার ডোজ পৌঁছানোর খবর আগেই জানানো হয়েছে। গাজীপুর জেলার সীমানা অংশ পর্যন্ত ভ্যাকসিনবাহী গাড়িগুলোকে পুলিশের প্রহরায় অন্য জেলা পুলিশের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এভাবে গাজীপুর মহানগর পুলিশ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
যে ৩৪টি জেলায় করোনার টিকা পাঠানো হচ্ছে সেগুলো হলো- ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট।
শুক্রবার উল্লিখিত জেলাগুলোর সিভিল সার্জনরা করোনার টিকা নিজ নিজ দায়িত্বে প্রশাসনের সহায়তায় বুঝে নেবেন।
গত বুধবার (২৭ জানুয়ারি) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বহুল প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং প্রথম ৫ জনকে টিকা দেয়া দেখেন। সব মিলিয়ে উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়।
বহুল প্রতীক্ষিত করোনা ভাইরাসের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের একদিন পরই গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ৫টি হাসপাতালে একদিনে ৫৪১ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৪টি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৪টি, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪টি, কুর্মিটোলনা জেনারেল হাসপাতালে ৪টি ও কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে একটি বুথে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত  অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে, যা ‘নিরাপদ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পারে’ বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে। ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে একজন টিকা গ্রহণকারী এ টিকার দুটি ডোজ নেবেন।
বাংলাদেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকায় ৫টি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির ওপর এ টিকা প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ২১ জানুয়ারি উপহার হিসেবে ভারতের পাঠানো করোনা ভাইরাসের ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছে। এর ৪ দিন পর গত সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বিশেষ ফ্লাইটে এসেছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি আরও ৫০ লাখ টিকা। টিকাটির নাম দেয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’।
গেল ৫ নভেম্বর ‘কোভিশিল্ড’ নামের ওই টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এ টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
করোনা ভ্যাকসিন ক্রয় চুক্তির ধারা অনুযায়ী, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ৬ মাসে বাংলাদেশকে ৩ কোটি টিকা দেয়ার কথা রয়েছে। প্রতিমাসে টিকা আসবে ৫০ লাখ করে। বাংলাদেশ সরকার জনগণকে বিনামূল্যে এ টিকা দেয়ার ঘোষণা আরো আগেই দিয়ে রেখেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com