হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : চলন্ত বাসে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই গাড়ির চালক ও তাঁর সহকারীকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিয়েছে জনতা। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে ওসমানী রোডে এ ঘটনা ঘটেছে। আটক বাসচালক রিয়াদ মিয়া ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে এবং হেল্পার ইব্রাহিম খলিল রুবেল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইসাখালী গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গত শনিবার সকালে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের তিমিরপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং-হবিগঞ্জ-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী ঢাকাগামী লাকী পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৪৬৪) ওই ছাত্রীকে তুলে নেয়। এরপর বাস চলতে শুরু করলে চালক ও হেল্পার ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ওই ছাত্রী বারবার গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তাঁরা বাস না থামিয়ে ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিজেকে রক্ষা করতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন ওই শিক্ষার্থী। পরে বাড়ি ফিরে তিনি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল রবিবার দুপুরে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডে আরজু হোটেলের সামনে স্থানীয় জনসাধারণ ওই বাসসহ চালক রিয়াদ ও হেল্পার রুবেলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাসচালক ও হেল্পারকে আটক করা হয়েছে।