মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্মদিন আজ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৩৬৯ বার পঠিত

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬৭তম জন্মদিন বুধবার। ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি দক্ষিণ কলকাতায় তার জন্ম।

নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে রাজনীতির ময়দানে মমতার উত্থান ছিল উল্কাসদৃশ। সাড়ে তিন দশকের বাম সরকারের পতন ঘটিয়েছেন কার্যত একার হাতে।

‘দিদি’র জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা।

সদ্য ফেলে আসা বছরে মমতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সাফল্যের শীর্ষ স্পর্শ করেছে। বহুচর্চিত ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে তার দল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা সামলে মমতা কেবল ঘুরে দাঁড়াননি, নিজেকে ভারতের বিরোধী রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ে আসতে পেরেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যটির ৮ম মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালে ২০ মে শপথ নিয়েছিলেন তিনি।

১৯৭০ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন মমতা। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত নারী কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে হেভিওয়েট বাম নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে ভারতের সব থেকে কম বয়সী সাংসদ হন।

১৯৯১ সালে কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে পুনরায় সাংসদ নির্বাচিত হন। সেসময় নরসিমা রাও মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানব সম্পদ উন্নয়ন, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোনীত হন। পরে ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালের নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৯২ সালে এক প্রতিবন্ধী নারী, যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল শাসক দল সিপিএমের কর্মীর বিরুদ্ধে, রাইটার্স বিল্ডিংয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে তাকে নিয়ে যান মমতা, সেসময় নিগ্রহ এবং গ্রেপ্তারের শিকান হন। তখন মমতা অঙ্গীকার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হয়েই সেই বিল্ডিংয়ে পুনরায় প্রবেশ করবেন!

১৯৯৭ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠন করেন। ১৯৯৯ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগদান করেন। পরে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী মনোনীত হন।

২০০১ সালে এনডিএ জোটে মত পার্থক্যের কারণে জোট ত্যাগ করেন। পরে আবার ২০০৪ সালে জোটে ফিরে যান এবং কয়লা ও খনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে তিনিই প্রথম তৃণমূল সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে তৃণমূল একাই ১৯টি আসন দখল করে এবং সেই সময় তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য রেলমন্ত্রী মনোনীত হন।

২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে ৩৪ বছরের বাম রাজত্ব ভূলুণ্ঠিত করেন। পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয় তৃণমূলের সরকার। সেই নির্বাচনে এককভাবে ১৮৪টি আসন দখল করে তৃণমূল। ২০ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে অবশ্য ২০০৬ সালের নন্দিগ্রামের ঘটনা এবং সিঙ্গুর আন্দোলন মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্বের পথ সুলভ করেছিল।

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মমতার নেতৃত্বে রাজ্যের ৩৪টি আসন দখল করে তৃণমূল। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে ২১১টি আসনে জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) সরকার গঠন করে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে পুনরায় শপথ পাঠ করেন। ২০২১ সালেও পুনরায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল এবং রাজ্যে শাসন ধরে রেখেছে।

রাজনৈতিক মহলের দাবি, মমতা একজন একরোখা রাজনীতিবিদ। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করে আজকের জায়গায় এসেছেন। রাজ্যবাসীর কাছে তিনি ‘দিদি’ বলে সুপরিচিত। অবশ্য বিতর্কও কম নয় মমতাকে ঘিরে। তবে সেগুলোকে থোরাই কেয়ার করেন তিনি! সম্প্রতি আঞ্চলিক রাজনীতি ছেড়ে সর্বভারতীয় অঙ্গনে নজর দিয়েছেন মমতা। সেখান থেকে কতটা সাফল্য পান সে দিকেই এখন সবার নজর।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com