বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

প্রথম ট্রিপেই পথে বন্ধ হলো দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাইয়ের নতুন রেল ইঞ্জিন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৫৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ : চুক্তি ভঙ্গ করে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাইয়ের রোটেম কোম্পানী বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১০টি ইঞ্জিনে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংযোজন করে সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইঞ্জিনে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংযোজনের অভিযোগ ওঠার পর গত ১৪ মাসেও যন্ত্রাংশ বদল করেনি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি। এ অবস্থায় ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনগুলোই গত ৪ অক্টোবর গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

কিন্তু ইঞ্জিনগুলো গ্রহণ করার পর তারই মধ্যে একটি ইঞ্জিন প্রথম ট্রিপেই সংযোজন করে গত ৬ অক্টোবর একটি ট্রেনে সংযোজন করলে পথেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। গত ৬ অক্টোবর রাতে ইঞ্জিনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মেইল ট্রেনে সংযোজন করা হয়। পরদিন সকালে ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় চলন্ত ট্রেনটি ঢাকার তেজগাঁওয়ের কাছে এসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে আসা হয় বলে রেলসূত্রে জানা গেছে।

রেল সূত্র বলেছে, এসব ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন ২০২০ সালে দেশে আনার পর গত বছর আগস্টে ইঞ্জিনগুলো পরীক্ষা করে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং চুক্তি অনুযায়ী যন্ত্রাংশ না দেওয়ায় তা গ্রহণ করেননি তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক। ওই সময় অভিযোগ ওঠার পর রেলপথ মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি তদন্ত করে শর্ত লঙ্ঘন করে ইঞ্জিনগুলোয় নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়েছে এমন প্রমাণ পায়। অলটারনেটর পরিবর্তন, না হয় জরিমানা- এই শর্তে ইঞ্জিনগুলো গ্রহণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সরবরাহ করা ১০টি ইঞ্জিনে টিএ ১২ মডেলের অলটারনেটর সংযোজনের শর্ত ছিল। চুক্তি ভঙ্গ করে ইঞ্জিনগুলোয় টিএ৯ মডেলের অলটারনেটর সংযোজন করেছে হুন্দাই রোটেম। এগুলো নিম্নমানের অলটারনেটর। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইঞ্জিনগুলো প্রয়োজনে ব্রডগেজে পরিচালনা করার জন্য রূপান্তর করা যাবে না। এগুলোর সক্ষমতা কম।

তবে এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন শুক্রবার মুঠোফোনে ভোরের কাগজকে বলেন, ইঞ্জিনগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে কোন ইঞ্জিন রাস্তায় খারাপ বা বন্ধ হয়েছে এমন খবর আমার জানা নেই। ইঞ্জিনগুলো যে চুক্তি বা শর্তাবলী দিয়ে ওর্ডার দেয়া হয়েছিল তাতে কোন সমস্যা নেই। ইঞ্জিনের শর্তাবলী ঠিক আছে। তবে ইঞ্জিন কেনা কাটায় কাগজে কিছু সমস্যা রয়েছে সে গুলোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ১০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) কেনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও হুন্দাই রোটেমের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৭ মে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com