শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রাসিক মেয়রের সাথে পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : আহত ১০ বরিশালে পুলিশ-শিক্ষার্থী দফায় দফায় সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ, রাজশাহীতে যুবদল নেতাসহ আটক ৫ কোটা সংস্কার : সড়ক অবরোধ দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইসলামপুরে রাস্তা প্রসস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন নাচোলে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

কিডনি-লিভার বিক্রি চক্রের মূল হোতাসহ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৫৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ : কিডনি ও লিভার পাচার চক্রের মূল হোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যােব। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের খুলশী থানার ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারের পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা র্যা ব-৭ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যা বের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।

চক্রটি এখন পর্যন্ত ৩০-৪০ জন লোককে প্রলুব্ধ করে অবৈধভাবে কিডনি ও লিভার বিক্রির জন্য ভারতে পাচার করেছে বলে দাবি র্যা বের। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মোহাম্মদ আলী ডালিম (৩৫), মো. আতিকুর রহমান রনি (৩৬) ও মো. আলম হোসেন (৩৮)।

র্যা ব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাংলাদেশে এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা ডালিম। রনি আন্তর্জাতিক কিডনি ও লিভার পাচারকারী দলের সদস্য। ভারতে অবস্থান করেন শাহীন নামে আরেক বাংলাদেশি। তিনি রনি, আলমদের মাধ্যমে কিডনি ও লিভার বিক্রি করবে এমন লোকজন সংগ্রহ করে তাদের ওই দেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে কিডনি ও লিভার দাতাদের ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেয় চক্রটি। কিন্তু এসব কিডনি ও লিভার চক্রটি ভারতে ক্রেতাদের কাছে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করত।

তিনি আরও বলেন, আসামি ডালিমের নেতৃত্বে চক্রের সদস্যরা প্রথমে কিডনি ডোনেট সেন্টারসহ বিভিন্ন নামে ফেসবুক পেজ খোলে। পেজে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে ডোনারদের নানাভাবে কিডনিও লিভার বিক্রির (ডোনেশনের) ব্যাপারে প্রলোভন দেখানো হয়। কিডনি বা লিভার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করবে এমন ব্যক্তি পাওয়া গেলে তাদের পাসপোর্ট তৈরি ও ইন্ডিয়ান ভিসা লাগানোর ব্যবস্থা করে দেয় চক্রটি। তারপর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাদের রক্ত, কিডনি ও লিভারের পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট ঠিক থাকলে তাদের ভারতে পাচার করে। এরপর ভারতে অবস্থানরত শাহীন ওই দেশে আবারও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিডনি ও লিভার সংগ্রহের ব্যবস্থা করে।

এ চক্রটি এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ জন লোককে প্রলুব্ধ করে অবৈধভাবে কিডনি ও লিভার দেওয়ার ব্যবস্থা করে বলেও জানায় র্যা ব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com