মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা : শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি সচল থাকলেও শুধুমাত্র জরুরী পণ্যবাহী এবং পরিসেবার যান পারাপার করা হচ্ছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে করেই পারাপার হচ্ছে। তবে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে পড়েছে বিপাকে। রাজধানীতে যাওয়ার যানবাহন না থাকায় দীর্ঘ অপেক্ষায় বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সিএনজি অটোরিকশা শিমুলিয়া থেকে ঢাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৬০০ টাকা। তারপরও পর্যাপ্ত যান না থাকায় অবর্ণনীয় কষ্ট করছে। কাছাকাছি অঞ্চল থেকে আসা অনেকে ফিরেও যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে, বহরের ১৬ ফেরির মধ্যে ১২টি চলাচল করছে। জরুরী পরিসেবায় যান-পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ছোট যান বাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে যানবাহনের চাপ ঠেকাতে সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও শিমুলিয়ার হিলশা মোড়ে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুরসহ ঢাকা বিভাগের ৭ জেলায় আজ ভোর ৬ টা থেকে লকডাউন চলছে। ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত এই লকডাউন ঘোষণা দিয়ে প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।জেলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের এবং একমাসে ১৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এপর্যন্ত জেলায় ৫হাজার ৮৮৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় মারা গেছেন ৭১ জন।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম (মেরিন) আহম্মদ আলী বলেন, ‘ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র জরুরী পণ্যবাহী এবং পরিসেবার যান পারাপার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’