নিজস্ব সংবাদদাতা : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র চালু এবং টিঅ্যান্টটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।
সোমবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভাচুর্য়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘এক্সিলারেটিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন চ্যালেঞ্জিং টাইমস’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) -এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) দিবসটি উদযাপন করেছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বলেন, কৃষিভিত্তিক এই ভূখণ্ডে লাঙ্গল-জোয়াল ছাড়া আর কোনো প্রযুক্তি ছিল না। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যান্ত্রিক যুগের শিল্পায়নেও যুক্ত ছিলাম না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬-২০০১ ও গত ১২ বছরের বাংলাদেশ অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও মোবাইলে ক্লাস করছে। বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল সক্ষমতার নজির স্থাপন করেছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন ও অ্যামটব চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।