সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

যৌন শোষণের শিকার হয়েছিলেন মুনমুন দত্ত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫৯৪ বার পঠিত

‘তারক মেহেতা কা উল্টা চশমা’ সিরিয়াল অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাতে ‘ববিতা জী’র চরিত্রে অভিনয় করেন মুনমুন দত্ত। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভীষণই একটিভ। তার সৌন্দর্য্যের লোকে দিওয়ানা। কিন্তু একটা সময় ছিলো যখন তিনি যৌন শোষণের শিকার হয়েছিলেন। আর #মিটু বিষয়ে নিজের জীবনের সেই নেক্কারজনক অধ্যায়ের বিবরণ দিয়েছেন।

২০১৭ সালে যখন ভারতে#মিটু’র স্রোত শুরু হয়েছিলো তখন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী নিজেদের যৌন শোষণের কাহিনী তুলে ধরেছিলেন। একাধিক মহিলা নিজেদের অতীতের শারীরিক হেনস্তার অনুভব সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বিবরণ দিয়েছেন। মুনমুন দত্ত নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিশাল বড় চাঞ্চল্যকর বিবৃতি দিয়েছেন।

তারক মেহতা থেকে বিখ্যাত হওয়া মুনমুন ইনস্টাগ্রাম থেকে এই করুণ অতীতের বিবরণ দিয়েছেন। তিনি কালো রঙের একটি ছবির সঙ্গে নিজের #মিটু অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়েছেন। তার সঙ্গে একটা লম্বা পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানেই নিজের শোষণের বিবরণ দিয়েছেন।

তিনি লিখেছিলেন, ভালো পুরুষরা ও মহিলাদের সংখ্যা তা দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে #মিটু অনুভব শিকার করেছেন। নিজের ঘরে নিজের মা, বোন, মেয়ে, স্ত্রী বাড়ির কাজের লোক সকলের সঙ্গে যৌন শোষন করে। প্রথমে তাদের ভরসা অর্জন করে। তাদের জিজ্ঞাসা করুন, সত্যিটা সামনে এলে চমকে যাবেন।

পোস্ট শেয়ার করে তিনি আরো লিখেছেন এভাবে নিজের অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে তার চোখ ফেটে পানি আসে। তার পাশের বাড়ির কাকার ভয়ানক দৃষ্টি থেকে ভয় পেতেন। নিজের অবসরে তার শরীর নিয়ে খেলত সেই সেই কাকা। সে আবার এই বলে হুমকি দিতো কাউকে এটা জানিয়ে দেওয়া হলে তাহলে সে দেখে নেবে।

শুধু সেই কাকাই নয়, নিজের থেকে অনেক বড় তুতো ভাই যার কাছে তিনি মেয়ের মতো যে হাসপাতালে তার জন্মের সময় দেখতে এসেছিলো। এরপর ১৩ বছর বাদে সেই তুতো ভাই তার শরীর ছোঁয়া অধিকার মনে করেছিলো। কিশোরী মেয়ের বদলে যাওয়া শরীর ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিলো সে।

এতেই শেষ নয় আমায় টিউশন পড়াত যে শিক্ষক তার হাত পৌঁছে গিয়েছিলো আমার অন্তর্বাসের ভিতর দিয়ে আমার যৌনাঙ্গ ছুঁয়েছিলো নাকি সেই শিক্ষক যাকে আমি রাখি বেঁধেছিলাম সে ব্রার স্ট্র্যাপ টেনে ধরে আমার স্তনে থাপ্পড় মেরেছিলো।

মুনমুন জানিয়েছেন, তিনি বুঝতে পারতেন না নিজের বাবা-মাকে কী করে এই বিষয়গুলো বলবেন। এ নিয়ে একটি শব্দ বলতেও তিনি অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। পুরুষদের প্রতি তার রাগ ক্রমশ বাড়ছিলো। কারণ তাদের জন্যেই এইভাবে অস্বস্তিকর অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যেতে হতো।

এসব জঘন্য অনুভূতি কাটিয়ে উঠতে তার বছরের পর বছর সময় লাগতো। তারপর সকলে যখন এই ধরণের নক্কারজনক অনুভূতিগুলো বলতে লাগলো তখন আমাকেও নিস্তার দেওয়া হয়নি সেই কথা বলবো বলে মনে হলো। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে তার মধ্যে এতোই সাহস তৈরি হয়েছিল যে কেউ যদি তাকে স্পর্শ করে তাহলে তাকে চিরেও দিতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com