শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহীতে নির্মাণাধীন ভবনে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ, ভাই-ভাবিসহ আটক ৩ বেড়ানোর কথা বলে বোনকে খুন করলেন সৎভাই রাজশাহীতে সিবিএ নেতাকে মারধরের অভিযোগ, চিনিকলে উত্তেজনা আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজন :জেলা পর্যায়ে উদ্বোধনী ও আইডিয়া শোকেসিং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ৮০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রামেবি স্থাপনের জমির দখল বুঝে পেল কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে হোটেল ও রেস্তোরা পরিদর্শনে রাসিকের স্যানিটারী পরিদর্শকগণ মশা নিয়ন্ত্রণে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ওসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, তদন্তের নির্দেশ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১১৯৪ বার পঠিত

রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান এ আদেশ দেন।

ওসি মিজানুর রহমান ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খায়রুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার হোসেন।

বাদীর আইনজীবী জাকির হোসেন হাওলাদার তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত ১৭ নভেম্বর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. রহিম আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ৩ ডিসেম্বর আদেশের জন্য রাখেন। ওইদিন তা পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়। যার আদেশ মঙ্গলবার ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মর্মে জানা গেছে।’ তিনি জানান, আদালত এএসপি পদমর্যাদার নিচে নয়-এমন এক কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলাটি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রহিম গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কাজ শেষে চরকালিগঞ্জ জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া ব্রিজের ওপর আসলে অজ্ঞাতনামা তিনজন তার গতিরোধ করেন। তারা নিজেদের ঢাকা জেলার ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। রহিমের নামে ডিবিতে মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে জানায়। পরে তারা রহিমকে একটি দোকানে নিয়ে তল্লাশি করেন। তবে তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করতে পারেনি।

দোকানে উপস্থিত লোকজন রহিমকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তারপর তারা রহিমকে দোকান থেকে বের করে বাবু বাজার ব্রিজের কাছে নিয়ে যান। সেখানে এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

এই তিনজন নিজেদের কাছ থেকে ৬৫০ পিস ইয়াবা বের করে বলেন, এগুলো রহিমের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। সে সময় আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘যদি ফাঁসতে না চাস তাহলে দুই লাখ টাকা জোগাড় কর। না হলে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবো।’

এ থেকে বাঁচার জন্য রহিম তার কাছে থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেন, নগদ ১৩ হাজার টাকা তুলে দেন। দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তারা রহিমকে রাত সোয়া ৯টার দিকে থানায় নিয়ে যান। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রহিম তাদের ৫০ হাজার টাকা দেন।

রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওসি মিজানুর রহমান রহিমকে ডেকে নেন। তাকে বলেন, ‘তোকে বাঁচিয়ে দিলাম। ছোট মামলা দিলাম, দুই একদিনের মধ্যে বের হয়ে আসতে পারবি।’

অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, দাবিকৃত টাকা পেয়ে রহিমের বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দিয়ে আদালতে পাঠান। ১৭ দিন জেলে থেকে ৩০ অক্টোবর মুক্তি পান রহিম। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ওসি মিজানুর রহমান ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী মো. সোহেল। পরে অজ্ঞাত কারণে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন বাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com