নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ কঠোর অবস্থানে রয়েছে রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর ফলে রাজশাহীর রাস্তাঘাট ফাঁকা অবস্থায় আছে। কাঁচাবাজার ও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বাদে সবকিছু বন্ধ আছে। শহরের রাস্তায় নেই মানুষের আনাগোনা। রাস্তায় কিছু অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও জরুরি সেবার গাড়ি চলাচল বাদে আর কোনো গণপরিবহন নেই।
কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে রাজশাহীতে তৎপর রয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীতে সবার তৎপরতা চোখে পড়েছে। তবে শহরে নানা প্রয়োজনে বের হয়েছেন কিছু কিছু মানুষ। যাঁরা বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছেন তাঁদের গুণতে হয়েছে জরিমানা।
রাজশাহীতে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এছাড়া মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। আর অহেতুক বাইরে আসা লোকজনকে শাস্তি দিতে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিনাপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফিরা করলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করছেন।
এদিকে গ্রামেও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে এবং মোড়ে মোড়ে দোকানপাট বন্ধ রাখা ও আড্ডা ভেঙ্গে দিতে কাজ করছেন প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনাররাও (ভূমি)। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জেলার বাগমারা উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার পুলিশের বিরুদ্ধে আবদুল আজিজ নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে তাঁর হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তখন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহামুদুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষককের। তবে সহকারী কমিশনার মাহামুদুল হাসান ওই শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার যে কঠোর লকডাউন দিয়েছে তা যে কোন মূল্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য লকডাউনের প্রথম দিনই রাজশাহী নগরীতে অহেতুক বাইরে ঘোরাফিরা করায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে ৫০টি মামলা করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।আজ শুক্রবারও এ অভিযান চলছে।