বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন

শিলিগুড়ি-ঢাকা যাত্রী-ট্রেন মার্চেই

সত্যনারায়ন শিকদার, পশ্চিমবঙ্গ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১২১০ বার পঠিত
শিলিগুড়ি-ঢাকা যাত্রী-ট্রেন মার্চেই
প্রতীকী ছবি।

সত্যনারায়ন শিকদার, পশ্চিমবঙ্গ :মার্চেই শিলিগুড়ি অথবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাত্রিবাহী ট্রেন চলবে বলে ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মঙ্গলবার ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি জানান, আপাতত ডিসেম্বরে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল মাধ্যমে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল যোগাযোগের উদ্বোধন করবেন। তার পরে মালগাড়ির একটি ফাঁকা কামরা চালিয়ে সেটির কাজ শুরু করা হবে। বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী জানান, মার্চে ঢাকা ও শিলিগুড়ির মধ্যে যাত্রিবাহী ট্রেন চালাতে দু’দেশের মধ্যে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের বহু পর্যটক এ বার সরাসরি দার্জিলিং বা সিকিম যেতে পারবেন। সরাসরি ঢাকা যেতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষ।প্রশ্ন উঠেছে, এই রেল লাইনের উদ্বোধনে ‘আপা’ থাকলেও ‘দিদি’ থাকছেন কি? ২০১১ সালে দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন পরিকল্পনা হয়েছিল, হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথ দিয়ে জোড়া হবে দুই বাংলাকে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোর কোনও নির্দেশ এখনও নেই।

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের কথায়, “তৃণমূলের হাতে রেল মন্ত্রক থাকার সময়ই এই কাজের সূত্রপাত। মমতা নিজেও এই প্রকল্প নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। তাই এই পথে ট্রেন চালু হওয়ার খবরে আমরা খুশি।’’ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর কথায়,

“বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে এই অনুষ্ঠান হলে এ রাজ্যের মানুষ মেনে নেবে না।” জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের পাল্টা মন্তব্য, “রেলের অনুষ্ঠানে কারা থাকবেন, তা রেল স্থির করবে। তবে অসৌজন্যের রাজনীতি তো তৃণমূলই করে। কোনও রাজ্য সরকারি অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হয় না। আমি বিরোধী দলের সাংসদ বলে রাজ্যের সব কমিটি থেকে বাদ রাখা হয়েছে।”

২০১১ সালে ৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বাংলাদেশ সফরের সময়ে এই রেলপথ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মনমোহনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। রেল সূত্রের খবর, সেই সফরের অনেক আগেই বিষয়টি নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন কলকাতা-ঢাকা ও কলকাতা-খুলনা রুটে দু’টি যাত্রিবাহী ট্রেন চলে।

এক সময়ে কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির যোগসূত্র ছিল এই রেলপথ। দার্জিলিং মেলও এই পথেই চলত। স্বাধীনতা, দেশভাগের পরেও কিছু দিন এই পথ খোলা ছিল। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পরে ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সংযোগকারী এই লাইনটি বন্ধ হয়ে যায়। রেল সূত্রের খবর, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে মনে রেখে দু’দেশের মধ্যে মৈত্রীর বার্তা দিতেই এই সময়টাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com