শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহীতে নির্মাণাধীন ভবনে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ, ভাই-ভাবিসহ আটক ৩ বেড়ানোর কথা বলে বোনকে খুন করলেন সৎভাই রাজশাহীতে সিবিএ নেতাকে মারধরের অভিযোগ, চিনিকলে উত্তেজনা আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজন :জেলা পর্যায়ে উদ্বোধনী ও আইডিয়া শোকেসিং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ৮০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রামেবি স্থাপনের জমির দখল বুঝে পেল কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে হোটেল ও রেস্তোরা পরিদর্শনে রাসিকের স্যানিটারী পরিদর্শকগণ মশা নিয়ন্ত্রণে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সোমবার ১২ এপ্রিল এলপি গ্যাসের মূল্য ঘোষণা করবে বিইআরসি!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৮২ বার পঠিত

নিউজ ডেস্ক : সোমবার (১২ এপ্রিল) এলপি গ্যাসের বিক্রয়মূল্য ঘোষণার প্রস্তৃতি প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিইআরসির (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিইআরসি’র চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেছেন, গণশুনানি গ্রহণের তারিখ থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১৪ জানুয়ারি শুনানি নেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল হয়। ওই দিন পহেলা বৈশাখের ছুটি। তাই এর আগেই ঘোষণা দিতে চাই। ১২ তারিখ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) চূড়ান্ত তারিখ জানাতে পারবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দর কতো হচ্ছে এখনই বলতে চাচ্ছি না। তবে এটুকু বলতে পারি, সবাই খুশিই হবে। সবপক্ষকে অ্যাড্রেস করা হয়েছে।

এশীয় অঞ্চলের দেশগুলো সৌদি আরামকোর দরকে ভিত্তি ধরা হয়। বিইআরসির দরের ফর্মুলা কি হচ্ছে। জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আইপিপি (ইমপোর্ট পার্টি প্রাইস) সারা পৃথিবীতে এই ফর্মুলা ফলো করা হয়। বাংলাদেশেও একই ফর্মুলা ফলো করা হবে।

ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ এশীয় অঞ্চলের দেশসমূহ সৌদি আরামকো নির্ধারিত প্রতিমাসের দর স্ব স্ব দেশের এলপিজির দর নির্ধারণের সুচক বিবেচনা করা হয়। আমদানি পর্যায়ের মূল্যকে ভিত্তি মূল্য ধরে পরিবহন ও অন্যান্য কমিশন যুক্ত করে বাজার মূল্য চূড়ান্ত করা হয়। বাংলাদেশেও এমন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। একটি হচ্ছে আমদানিকৃত এলপিজির মূল্য। আরেকটি থাকবে পরিবহন খরচ, কোম্পানির ও পরিবেশকের মুনাফা এবং অন্যান্য। আরামকোর দরের সঙ্গে শুধু এনার্জি দর উঠানামা করবে, অন্যান্য খরচ অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও অনেকে এই মতের সঙ্গে একমত। তারা মনে করছেন প্রত্যেক মাসে গণশুনানি তারপর দর নির্ধারণ করার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ ও জটিল। সে কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হলেই ভালো। এতে কারো বেশি লাভ কিংবা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ কম থাকবে।

তবে স্বংক্রিয় দরের বিপক্ষে মত দিয়েছেন ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, স্বংক্রিয় করার বিষয়ে আইন পারমিট করে না। আমরা তাদের বেতন দিচ্ছি তারা এটি করবে। সক্ষমতা না থাকলে প্রয়োজনে তারা সক্ষম হবে। দর পরিবর্তন হলে সেই পণ্য দেশে আসতে ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় প্রয়োজন হয়। তখন আবার গণশুনানি করবে।

বহুমুখী বাজার, অর্ধশতাধিক কোম্পানি, হাজার হাজার পরিবেশক, লক্ষাধিক খুচরা বিক্রেতা, সর্বপরি আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির অস্থিতিশীল বাজার বিষয়টিকে বেশ জটিল করে তুলেছে। দেশে ব্যবহৃত এলপিজির সাড়ে ৯৮ ভাগ আমদানি নির্ভর। সরকার এখন পর্যন্ত ৫৬টি কোম্পানি অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে ২৮টি মার্কেটে রয়েছে ২০টি প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারি কোম্পানির মার্কেট শেয়ার মাত্র দেড় শতাংশ।

এতদিন এলপিজির দর কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন ছিল। দর নির্ধারণের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই কথা হলেও জ্বালানি বিভাগ, বিইআরসি নাকি বিপিসি করবে সে নিয়ে ছিল রশি টানাটানি। সর্বশেষ ক্যাবের এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এলপিজির দর নির্ধারণ করার জন্য বিইআরসিকে শোকজ করে। সে মোতাবেক দর চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১৪ জানুয়ারি গণশুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি। শুনানিতে প্রমিতা এলপিজি ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডার প্রতি ৮৫৩ টাকা, সরকারি কোম্পানি বিএলপিজি ৭০০ টাকা, এলপিজি অপারেটরস এসোসিয়েশন ১২৫৯ টাকা করার প্রস্তাব জমা দেয়।

অন্যদিকে দরের মতো প্রপেন ও বিউটেন একেক কোম্পানি একেক মিশ্রণে বাজারজাত করছে। বাংলাদেশের একশ বছরের তাপমাত্রা রেকর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন ২.৬ তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে। তাপমাত্রা অনুযায়ী প্রপেন ৩০ হতে ৪০ শতাংশ এবং বিউটেন ৭০ থেকে ৬০ শতাংশ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী এক সেমিনারে বলেছেন, খুব ঘন ঘন দর উঠা-নামা করলে ভোক্তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সে কারণে যতটা সম্ভব কম উঠা-নামা করা ভালো। পাশাপাশি ক্রস সাবসিডি দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অভিমত দেন।

ক্রস সাবসিডির বিষয়টি বিইআরসির এক রিপোর্টে সামনে এসেছে। অনেক দিন ধরেই একটি বিষয় আলোচিত ছিল কেউ পাইপ লাইনে কম দামে গ্যাস পাবে। অন্যরা বেশি দামে এলপিজি কিংবা লাকড়ি ব্যবহার করবেন এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই বিষয়টিতে সমতা আনার জোর দাবি ছিল। তারই প্রতিফলন করতে চেয়েছিল বিইআরসি। জ্বালানি বিভাগে পাঠানো একটি চিঠিতে সাশ্রয়ী মূল্যে এলপিজি সরবরাহের জন্য আমদানি পর্যায়ে ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয় পাইপলাইনের গ্যাসের গ্রাহকদের ওপর চার্জ বসিয়ে ভর্তুকির অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।

বিইআরসির সেই চাওয়ার কোনো প্রতিফলন থাকছে না বলে জানা গেছে। বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে, গণশুনানিতে কোনো পক্ষই এ বিষয়ে আবেদন করেনি। সে কারণে বিইআরসি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

২০০৮-০৯ অর্থ বছরে দেশে এলপিজি ব্যবহৃত হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৭৪ মেট্রিক টন। কয়েক বছরে চাহিদা বেড়ে ১২ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। জাইকার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ৩০ লাখ টন ও ২০৪১ সালে চাহিদা হবে ৬০ লাখ টন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com