নিউজ ডেস্ত : সনাতনদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব রোববার (২৮ মার্চ)। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় তাই এর আর এক নাম বসন্তোৎসব। তবে দেশে এই উৎসবটি দোলযাত্রা নামেও পরিচিত।
রোববার (২৮ মার্চ) করোনা মহামারির মধ্যে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী সারাদেশে এ উৎসব উদযাপন হচ্ছে।
দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন।
এ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোমযজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। রাজধানীতে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তবে করোনার কারণে এবার খুব বড় পরিসরে অনুষ্ঠান হচ্ছে না।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে উৎসবটি নির্বিঘ্নে উদযাপনে সারাদেশে হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।