সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন

প্রাথমিক শিক্ষকরা শিক্ষা অফিসার থেকে পরিচালকও হতে পারবেন :বিধিমালা, ১৯৮৫’ সংশোধন করা হচ্ছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৯৭৪ বার পঠিত

নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৫’ সংশোধন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংশোধিত চূড়ান্ত খসড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে একজন সহকারী শিক্ষক তার নিজ পদ থেকে প্রধান শিক্ষক, সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী পরিচালক, এমনকি সর্বোচ্চ পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতি পাবেন। বর্তমানে পরিচালক প্রশাসন ক্যাডার থেকে হয়। এই নিয়োগ বিধির আওতায় এই প্রথম প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন থেকে হবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে সর ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা যাতে আন্তরিকতা নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষকতা করতে পারেন সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা শিক্ষকদের কর্মকর্তা বা কর্মচারী ভাবতে চাই না। তারা শিক্ষক, তারা সম্মানীয়। তাই তাদের জন্য আমরা ১৯৮৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে খসড়া নিয়োগ বিধিমালা পাঠানো হয়েছে।’

বেতন গ্রেড নিয়ে অসন্তোষের পর সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের বিভাগীয় পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে লিখিত আবেদনও জানানো হয়।

এই ঘটনার পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ১৯৮৫ সালের আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সংশোধন খসড়ায় সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতির বিধান রাখা হয়।

শিক্ষকরা বলছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৫’-এর অধীনে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির বিধান ছিল। প্রধান শিক্ষকরা সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতি পেতেন। এতে সহকারী শিক্ষকরাও নির্দিষ্ট সময়ে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির সুযোগ পেতেন।

কিন্তু ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিধিমালাটি সংশোধনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি রহিত করা হয়। ফলে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির বিধান থাকলেও পদোন্নতির সুযোগ হারিয়ে যায়। এবার প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির বিধানও যুক্ত হচ্ছে। ফলে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা নির্ধারিত নিয়মে পদোন্নতি পাবেন। আগের নিয়মে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও এবার তা বাড়িয়ে পরিচালক পর্যন্ত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র এসএম ছায়িদ উল্লা বলেন, ‘আমাদের দাবি, পরবর্তী ঊর্ধ্বতন পদে পদোন্নতির মাধ্যমে শতভাগ পদ পূরণ করতে হবে প্রধান শিক্ষকদের বিভাগীয় পদোন্নতি দিয়ে। আর যদি কোনও কারণে শতভাগ পদে বিভাগীয় পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব না হলে অন্তত ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে, বাকি ৩০ শতাংশ প্রধান শিক্ষকদের মধ্য থেকে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে পূরণের জন্য বিধান যুক্ত করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের কোনও সীমাবদ্ধতা রাখা যাবে না।’

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির বিধান যুক্ত করতে হবে খসড়া নীতিমালায়। এই ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং ৩০ শতাংশ উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি দিতে হবে। অনূর্ধ্ব ৪৫ বছরের বয়সের কোনও বাধা রাখা যাবে না। কারণ, একজন সহকারী শিক্ষকের প্রধান শিক্ষক হতেই ৪৫ বছর লেগে যায়, তাহলে ঊর্ধ্বতন থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতিতে অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর শর্ত জুড়ে দিলে কোনও সহকারী শিক্ষক ওই পদে যেতে পারবেন না।’ সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com