শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

হাসিনা-মোদি বৈঠকে ৯টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১০৭০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে নয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।বুধবার তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যকার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বিভিন্ন খাতে নয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে এখনো কাজ করছেন।’এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।বাসস জানিয়েছে বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই ভার্চুয়াল বৈঠকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালের আগের পুরনো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগটি সুদীর্ঘ ৫৫ বছর পর পুনরায় উদ্বোধন করা হবে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ তখন পাকিস্তানের অংশ ছিল।মোমেন বলেন, এই বৈঠককালে ঢাকা পানি বন্টন, কোভিড সহযোগিতা, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও রোহিঙ্গা সংকটসহ প্রধান সব দ্বিপক্ষীয় ইস্যু তুলে ধরবে।পানি বন্টন আসন্ন বৈঠকে দু’দেশে প্রবহমান অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টনের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। ঢাকা দু’দেশের মধ্যে বয়ে চলা প্রধান সাতটি নদী মনু, মুহুরি, গোমতি, ধরলা, দুধকুমার, ফেনী ও তিস্তার পানি বন্টনের ইস্যুটিকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিগগিরই, এমনকি যদি সম্ভব হয় আগামী মাসেই এই অভিন্ন সাতটি নদীর পানি বন্টন ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে একটি কাঠামো গড়ে তুলতে মন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব রাখা হবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পটিও জেআরসি বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা হবে। ১০ বছর আগে ২০১০ সালে নয়া দিল্লীতে সর্বশেষ জেআরসি’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি অনেক আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমনকি ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তির প্রতিটি পাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে।’বিগত কয়েক বছর ধরে দিল্লী চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য বারংবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চূড়ান্ত চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু বাস্তবায়নের অপেক্ষা।’‘‘এখন আমরা (ঢাকা) বিষয়টি তাদের (নয়াদিল্লী) ‘প্রতিশ্রুতির সম্মানের’ উপর ছেড়ে দিয়েছি। কারণ বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সব সময় এই ইস্যুটি তুলে আমরা তাদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলতে চাই না।’’তিনি বলেন, এই চুক্তিটি বাস্তবায়নের প্রশ্নে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ করে পশ্চিম বাংলা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।মোমেন বলেন, কোভিড মহামারী ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হিসেবে স্থান পেতে পারে। ভারত সর্বপ্রথম বাংলাদেশকেই কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলে ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বৈঠকে বিষয়টি আরো জোরালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশে ৩০ মিলিয়ন ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com