রিমন পালিত: বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামা উপজেলায় ফাইতং ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের খুরপাইন ঝিরি (সোমবার রাত ১২টায় ৬ এপ্রিল২১ইং)। স্থানীয় ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সহসভাপতি সহজসরল রাজনীতিবিদ মো.শহিদুল ইসলামের প্রায় ৫.০০ একর জায়গা বাড়ি সহ দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে ও রাতে বাবা বাড়িতে না থাকায় বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে,কেউ বা কেউ। এই বিষয়ে জায়গার মালিক মো. শহিদুল ইসলাম (৫৮) পিতা- মো. হাবিব উল্লাহ , বাবা যে বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়ি আগুন পড়ার খবর পেয়ে রাতে আসলে কোনোভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, কিন্তু এই বিষয়টি এলাকা সহ ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় মিডিয়াদের কে অভিযোগ করে জানান। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জায়গার শহিদুল ইসলাম সরকার ১৯৯৫ সালে নরুল হোসন, পিতা- আমিন উল্লাহ থেকে লামায় ৩০৬নং ফাইতং মৌজায় আর হোল্ডিং- (২৭৮২) এর ৫ একর জায়গা ক্রয় করে শহিদুল ইসলামে। এবং বাড়ি সহ বিভিন্ন ফলের গাছ বাগান সৃজন করে। উক্ত জায়গা পুকুর ও বাগান বাবা নিজে পরিচালনা করে। অনেক বছর ধরে গাছ বাগানে ফল দেন কাঁঠাল আম ও বিভিন্ন ফল। পরে জায়গাটিতে কিছু ফসল ক্ষেত করে কিন্তু বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রায় ৪/৫ বার জায়গায় টি দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, সোমবার রাত বসতবাড়ি টি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই হয়। ও পাশে একটি কাঁঠাল গাছ ছিল পায় ১০০শত ও বেশি কাঁঠাল ফল তাও পুড়ে যায়। বাড়ি মালামাল সহ ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবং বিভিন্ন সময় বাবাকে প্রণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে বহিরাগতরা সন্ত্রাসীরা। জায়গার মালিক শহিদুল ইসলাম জানায়, আমি উক্ত জায়গা ক্রয় করে ২৬ বছর যাবৎ ভোগদখলে আছি। কিন্তু কয়েক মাস যাবৎ বহিরাগত ভূমিদস্যু জায়গাটি দখল নেওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা চালায় কোনো সংবাদে নাম দিচ্ছি না প্রানের ভয়ে থানায় অভিযোগে সন্ত্রাসী নাম উল্লেখ করবো। এমনকি আমার বাবাকে ও বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে থাকে। এই বিষয় শহিদুলের বাবা জানায়, আমি দীর্ঘ ২৬ বছর যাবৎ আমার ছেলে জায়গায় বাড়িতে আছি। কিন্তু আমাকে এবং আমার পরিবারকে উক্ত জায়গা থেকে চলে যেতে বলে এবং মামলার হুমকি দিয়ে থাকে । স্থানীয় সর্দার মহিউদ্দিন ও ব্যক্তিবর্গ সহ জানায় বাড়ি জায়গাটি মূলত শহিদুল ইসলামের, কিন্তু তিনি এলাকায় স্থানীয় মানুষ, তবে পাশে বর্তী চকরিয়া উপজেলা বরইতলী ইউনিয়ন থেকে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী এসে। বিভিন্ন সময় ভূমি লোভী, জায়গা বাড়ি সহ দখল করার চেষ্টা করে। এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মহিলা সদস্য ফাতেমা বেগম বলেন, আমার জানামতে বাড়িটি মূলত শহিদুল ইসলামের। উক্ত জায়গা বাড়ি করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে। এবং কেউ বা কেউ রাতে বাড়িটি আগুন দেন, কিন্তু আমাদের সকালে এলাকায় মানুষ জানালে বাড়িটি দেখতে গেলে বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়ানো দেখায় যায়। ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘটনা যে কেউ করতে পারে কিন্তু ন্যায় বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যেই দাবী জানাচ্ছি । এবং আশা করবো ফাইতংএর মানুষজন তাদের ধৈর্য, সামাজিকতা, ন্যায় কাজ মূল্যবোধ ব্যবহার করে এরকম অনাকাংখিত ঘটনা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখবেন। এই বিষয় ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন বি এ বলেন, ফাইতং ৩নং ওয়ার্ড বাড়ি আগুন পুড়ার বিষয় টা আমাকে জানিয়েছে সহযোদ্ধা শহিদুল এই ঘটনা যে করুক প্রশাসনে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন কোম্পানি বলেন- আমাকে বিষয় টি মুঠোফোনে মাধ্যমে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান (মিজান) বলেন, মুঠোফোনে বিষয় টি জানিয়েছেন, কিন্তু এখনো কেউ লেখিত অভিযোগ দেয়নি লেখিত অভিযোগ পেলে তদন্তের সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।