বিডি ঢাকা ডেস্ক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাকৃতিকভাবে মাছ পাওয়ার স্থান ধ্বংস হলে মৎস্যজীবীরা যথাযথ মাছ পেতে পারবেন না। বর্তমানে যেখানে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার কথা, তা পাওয়া যাচ্ছে না, যার ফলে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অমৎস্যজীবীদের কাছে আর কোনো জলাশয় ইজারা দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে বাওড় ইজারা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে।
আজ বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর সমাপনী, মূল্যায়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “মৎস্য সপ্তাহ শেষ হলেও, আজ থেকেই শুরু হলো সারা বছরের মৎস্য সপ্তাহ। নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে হবে। এ সপ্তাহে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।” তিনি আরও জানান, এ বছরের মৎস্য পদক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনো প্রকার তদবির হয়নি; একাধিক ধাপ অতিক্রম করেই যোগ্যদের পদক প্রদান করা হয়েছে।
বিএফআরআইয়ের তরুণ বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “অভয়াশ্রম নিয়ে আপনারা যে নিবিড় গবেষণা করছেন, তা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। গবেষণাকে কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধু খাদ্য উৎপাদনের জন্য নয়, এটি একটি বৌদ্ধিক কেন্দ্র। দেশের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, আর আমরা তা করতে সক্ষম হবো।”
অন্যদিকে, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ জানান, ইলিশ উৎপাদন প্রকৃতি নির্ভর। অনেক জায়গায় বাধার কারণে ইলিশ সাগর থেকে নদীতে আসতে পারে না। ফলে ইলিশ আহরণ কম হচ্ছে এবং দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া চিংড়ি চাষ বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট জোন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। সম্মানিত অতিথিরা ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রা এবং মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হক। অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্যজীবী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।