নিউজ ডেস্ক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দল আয়োজিত এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘তারেক রহমান কিন্তু সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে ইলেকশনের মাধ্যমে। তারা (আওয়ামী লীগ) কেন ইলেকশন করতে পারছে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কথাবার্তা, আচার আচরণে মনে হয় দেশটা তিনি পৈতৃকসূত্রে মালিক। তারা দুই বোন আছেন, একজন আরেকজনকে বলেন, আমি কি বাপের মেয়ে না? এই দ্বন্দ্বটা কেন। যদি গণতন্ত্র বিশ্বাস করতেন, জনগণের ভাবনায় বিশ্বাস করতেন, তাহলে তাদের এ নিয়ে ঝগড়া লাগত না। তারা মনে করে দেশটা পৈতৃকভাবে তাদের প্রাপ্য। এই কারণে ওয়ারিশ নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নাকি লাইফসাপোর্টে আছে। পুরা দেশটাই তো তিনি লাইফ সাপোর্টে রেখেছেন। এখন আলাদা আলাদাভাবে কোন ব্যক্তি, কোন দল লাইফ সাপোর্টে আছেন তা নির্ণয় করা কঠিন। কারণ দেশ টিকবে কি না সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে মানুষ। রক্ত দিয়ে কেনা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের জনগণের হাতে নাই। আপনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন, দেশটা তো আপনার হাতে নেই। আপনি তো প্রধানমন্ত্রী নন, আপনি তো পুতুল। আপনাকে কে নাচায়, তা আপনি ভালো করে জানেন। গণভবনে আমরা পুতুল নাচ দেখছি। কে লাইফ সাপোর্টে আছে, সেটা যদি অনুধাবন করতে পারতেন তাহলে অনেক আগেই মন্ত্রিসভা ছেড়ে দিতেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা আর গণতন্ত্র ফিরে আসা একইসূত্রে গাঁথা। আমরা যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে তারেক রহমান ফিরে আসবে। এখানে কিন্তু জেল-জুলুমের ভয় না। যুদ্ধকালীন সময়ে তারেক রহমানের বয়স যখন ১০ বছর তখন তিনি বেগম জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানি মিলিটারি ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন।’
দেশ কারো একার ভাবনাচিন্তায় স্বাধীন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করেছে এ দেশের আপামর জনগণ। দেশের মালিক জনগণ। সুতরাং আপনার চিন্তা-ভাবনা মাথা থেকে প্রত্যাহার করেন। দেশটা বিনা সংগ্রামে স্বাধীন হয়নি, জনগণের অধিকার কখনো আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া প্রতিষ্ঠিত হয় না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সভাপতি কাজী মো. আমির খসরু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদলের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, দক্ষিণ শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন ভূঁইয়া প্রমুখ।