বাদীপক্ষের আইনজীবী এসইউএম নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, ‘স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি আর কিছু চাই না।’
১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়া মির্জারখিল দরবার শরিফের সামনে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আমজাদ হোসেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার কামাল জাগো নিউজকে বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন। তিনি ইউনিয়নের অপরাধনির্মূল ও সন্ত্রাসদমনে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখার ফলে দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পরিণত হন।
সারওয়ার কামাল বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাতে মির্জারখিল দরবার শরিফে ওরশ চলাকালীন দরবার শরিফের উত্তর গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে আমজাদ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশন আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে সাতকানিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে সিআইডি পুলিশের হাতে তদন্তের ভার ন্যস্ত হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশ ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চলতি বছরের ১১ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওই দিনই ১০ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় মোট ২০ আসামির মধ্যে একজন মারা গেছেন, বাকি ৯ জন পলাতক।