রামগড় (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা :খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় স্বামী এবং শাশুড়ির সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়। এরপর থেকে ভুক্তভোগী নারী প্রতিপক্ষের চাপে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আভিযুক্তরা।
ওই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি উপজেলার ২নম্বর পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। কিন্তু মামলা দায়ের করার ৪৬ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে মহিউদ্দীন মেম্বারসহ অন্য আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলার নাকাপা এলাকার পারিবারিকভাবে ভিকটিমের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন মেম্বার জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করে আসছে। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার লোভে স্বামী এবং শাশুড়ি মহিউদ্দীনকে ধর্ষণে সহায়তা করে আসছে। সুযোগ পেয়ে ভিকটিম পাশের এলাকায় তার নানা বাড়িতে এসে তার পিতাকে ঘটনা খুলে বললে তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী বলেন, রহস্যজনক কারণে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। গত ৯ মার্চ পুলিশ মামলা নেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, মহিউদ্দীন এলাকায় আসার কোনো খবর তার কাছে নেই। এলাকায় পুলিশের সোর্সদের নির্দেশ দিয়েছেন মহিউদ্দীনকে এলাকায় দেখলে জানাতে। তাছাড়া মহিউদ্দীন এবং অন্য আসামিদের ধরতে কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছেন বলেও জানান তিনি।