সত্যনারায়ন শিকদার,পশ্চিমবঙ্গ সংবাদদাতা : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দিল্লিতে ইতিমধ্যেই লকডাউন জারি হয়েছে। মুম্বাইতে মাত্র চার ঘণ্টা খোলা থাকছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান।
পশ্চিমবঙ্গেও কি লকডাউন হতে চলেছে? এখন একটাই প্রশ্ন বাঙালিদের মুখে মুখে আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গত দশ দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে প্রতি দিন গড়ে সাত হাজার করে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
আগামী ২ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই ফের লকডাউন হয়ে যাবে রাজ্যে আর তাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
‘আবার লকডাউন হলে তো মরে যাব খেতে পারব না’ বললেন মধ্য কলকাতার চাঁদনী চকের চা বিক্রেতা রাজু সিং।
লকডাউন মানেই সাধারণ মানুষের সমস্যা বেড়ে যাওয়া। একদিকে আয়-রোজগার বন্ধ এবং অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া।
ইতিমধ্যেই লকডাউনের আতঙ্ককে পুঁজি করে মুনাফা খুঁজছেন একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। কলকাতার কিছু বাজারে ডিমের দাম এখন সাড়ে ৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭-৮ টাকা। যে আলু অনেক বাজারেই ১৫ টাকা প্রতিকেজি। আচমকাই লকডাউন হতে পারে এই সুযোগে ২০/২৪ টাকায় বিক্রি করা শুরু করেছেন বিক্রেতারা। জানা গেছে, কালোবাজারীরা ইতিমধ্যে মাল নিখুঁত করে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সংখ্যা তৈরি রাখার চেষ্টা করেছেন।
গত বছর লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজারগুলিতে অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগও উঠেছিল। সে সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বাজারগুলিতে হানা দেওয়া হয়। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে এখন নির্বাচন চলছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
শুধু শহর নয়, পশ্চিমবঙ্গের জেলাতেও একাধিক বাজারে কালোবাজারির অভিযোগ পাওয়া গেছে আর বাড়ছে সাধারণ মানুষের হয়রানি।