চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা :চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের লাওঘাট্টা এলাকায় মহিষডাঙ্গা খালের উপর ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ। এখানে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। একটি ব্রীজ দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে আছে।
যেন এটি ব্রীজ না বলে মরণ ফাঁদই বলা চলে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- কালভার্টটির একদিকে ঢালাই উঠে গিয়ে কয়েকমিটার জুড়ে রড দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন যানবাহন কালভার্টের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকছে। পর্যায়ক্রমে কালভার্টটি পার হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, এ ব্রীজটির উপর দিয়ে চককীর্তি, ভাটুপাড়া, সিরোপাড়া, বারোমাসিয়া, নামোটোলা, পিরোনটোল, আব্বাস বাজার, কানসাট, মোবারকপুর, হাজিডাঙ্গা, আঁখিরা, গোঁসাইবাড়ি, পোলাডাঙ্গা, ফকিরপাড়া, রানীনগর, দিয়াড়, ধাইনগর, মহিপুর, গুপ্তমানিক, নাককাটিতলা ও চৈতন্যপুরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে ও কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বহন করে থাকে।
তাছাড়া এ ব্রীজটির উপর দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও চাকরীজীবিসহ বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। পথচারীরা জানায়, কালভার্টটি যখন তৈরী হয়, তখন ভারী যানবহন এখান দিয়ে তেমন চলাচল করতো না। কিন্তু পরবর্তীতে আমসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বহন করতে ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করে। প্রায় দুই বছর ধরে ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও কোন বিকল্প পথ না থাকায় এখানে দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে।
তারা জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। স্থানীয়রা জানায়, ১৯৮৫-৮৬ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ডা: মইন উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে ব্রীজটি তৈরী হয়েছিল। এদিকে তার ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল সাম্প্রতিকালে কালভার্টটি পরিদর্শন করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছিলেন যে জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।
এ বিষয়ে ধাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান তাবারিয়া চৌধুরী জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। তবে উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, ব্রীজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছি। তাছাড়া অন্য কোন ফান্ড থেকে এ কাজটি করার চেষ্টাও চলছে।