বিডি ঢাকা ডেস্ক
কুড়িগ্রামে জেকে বসেছে শীত। সেই সাথে হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পরছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলার জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটেখাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। উত্তরের হিমেল বাতাস হওয়ার কারণে চর দ্বীপচরের মানুষরা চরম কষ্টে পড়েছে। নদ-নদীর অববাহিকায় খোলা হওয়ায় ঘরের মধ্যেও মানুষরা কুঁকড়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশু আর বৃদ্ধরা চরম কষ্টে রাত কাটাচ্ছে।
জেলা সদরের হলোখানা ইউনিয়নের ফরিদ বলেন, ” তীব্র শীতের কারণে ৪-৫ দিন ধরে ট্রলি চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। ঠান্ডার কারনে আয়ও কমে গেছে।পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক নূরুল জানান, মাঠে কাজ করার সময় ঠান্ডায় হাত পা অবশ হওয়ার মতো অবস্থা হচ্ছে। বেশিক্ষন কাজ করা যায় না।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, লঘুচাপের কারনে আকাশে মেঘ থাকায় কুয়াশার উপস্থিতি বাড়ছে। সেই সাথে ধেয়ে আসা শীতল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। লঘুচাপ সরে গেলে তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হয়ে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি ।হিমালয়ের নিকটবর্তী সীমান্ত ঘেঁষা এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় শীতের তীব্রতাও এখানে বেশি থাকে। শীতের স্থায়িত্বও থাকে বেশি দিন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।