অনলাইন নিউজ : মধ্যরাতে সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীন। এ ঘটনায় লঘুদণ্ড হিসেবে দুই বছর বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হবে তার। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা সুলতানা পারভীন লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করলে ২০২০ সালের ৯ আগস্ট ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া তার মৌখিক বক্তব্য ও লিখিত জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিভাগীয় মামলাটি তদন্ত করার জন্য তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদন্ত বোর্ডের আহ্বায়ক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) আলী কদর ২০২১ সালের ২ মে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী আনীত অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, তদন্ত বোর্ডের তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা শেষে অভিযুক্ত কর্মকর্তা সুলতানা পারভীনকে গুরুদণ্ড প্রদানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। সুলতানা পারভীন লিখিতভাবে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করলে সেই জবাব ও তদন্ত প্রতিবেদনসহ অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বিষয়াদি বিবেচনা করে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুসারে দুই বছরের জন্য তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, তিনি ভবিষ্যতে এ মেয়াদের কোনো বকেয়া পাবেন এবং তার বেতন বৃদ্ধি গণনা করা যাবে না।