বিডি ঢাকা ডেস্ক
খুলনায় চলমান আন্দোলনে পুলিশ হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় কারও নাম উল্লেখ না করলেও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৮ হাজার ৭০০ জনকে।
এর মধ্যে পুলিশ হত্যা মামলায় ১০০০ থেকে ১২০০, নাশকতা, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ আহতের ঘটনায় ৫ থেকে ৭ হাজার ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ আগস্টের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৭৩১টি রাবার বুলেট, ১৯০টি টিয়ার গ্যাস ও ১০১টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে সুমন ঘরামি নামে এক কনস্টেবল নিহত, পুলিশের গাড়ি পোড়ানো, নাশকতা ও পুলিশ আহত করার ঘটনায় তিন থানায় পৃথকভাবে তিন মামলা করা হয়েছে। এ সব ঘটনায় প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার করতে সিসি টিভি ও ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার সিসি টিভি রেকর্ড দেখে আসামি শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, পুলিশ আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে ফাঁকা আওয়াজ করতে রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের আঘাতে কেউ আহত হয়নি। কিন্তু ঘটনা নিয়ন্ত্রণের পর ফিরে আসার সময় পিটিয়ে পুলিশকে নিহত ও আহত করা হয়েছে।
লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামি নিহতের ঘটনায় লবণচড়া থানায় ৫ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। কোনও আসামি গ্রেফতার হয়নি। থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সুমনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। আসামিদের শনাক্তের প্রচেষ্টা চলছে।
হরিটানা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, নাশকতা, সরকারি কাজে বাধা ও আহত করার ঘটনায় ৫ থেকে ৭ হাজার অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশের করা এ মামলায় এখনও কোনও গ্রেফতার নেই।
খুলনা সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, পুলিশের প্রিজন ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।