বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভূক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’- এই প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বলেছেন, প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধী না বলে গোল্ডেন সিটিজেন বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বলায় ভালো। তাদের সম্পর্কে মা-বাবাসহ সমাজের সকলের দৃৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। কারণ তাদেরকে পেছনে ফেলে নয়, তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা না হলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাদেরকে সমাজের সকল কাজে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সম্পর্কিত জেলার চিত্র তুলে ধরেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম। তিনি জানান, জেলায় প্রতিবন্ধী রয়েছে ৪২ হাজার ৪০১ জন, তাদের মধ্য থেকে ভাতা পাচ্ছে ২৮ হাজার ৫৮৫ জন, উপবৃত্তি পাচ্ছে ৩৮৭ জন এবং ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় আনা হয়েছে ৯৯৫ জনকে। তিনি নতুন করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আরো ১ হাজার জন এই তালিকার সঙ্গে যোগ হবে।
সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ বলেন, অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসায় কোনো ওষুধ নেই। একমাত্র উপায় হচ্ছে থেরাপি ও বিভিন্ন ধরনের কলাকৌশল অবলম্বন করে তাদেরকে যতটা পারা যায়, সুস্থ করে তোলা। সবচেয় বড় ওষুধ হচ্ছে মা-বাবার স্নেহ ভালোবাসা আর আদরযত্ন।
আরো বক্তব্য দেন- অ্যাঞ্জেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম, অভিভাবক মো. আব্দুল খালেক। তারা জেলা সদরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য আবাসিক কেন্দ্র স্থাপনের অনুরোধ জানান।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন পৌর সমাজকর্মী মো. শামসুল করিম।