গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্যাকেটজাত ও মানসম্মত আম পুরো মৌসুমজুড়ে জাপানে রপ্তানি করা হবে। এছাড়া অন্যান্য দেশেও আম রপ্তানিতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আম উৎপাদন হচ্ছে। তবে দেশ ও দেশের বাইরে সুনাম রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উৎপাদিত সুমিষ্ট আমের।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুরে বারি গম-৩৩ ও খামারি মোবাইল অ্যাপের প্রদর্শনীতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সচিব আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমের জন্য বিখ্যাত হলেও আমকেন্দ্রিক কোন শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠেনি। আগামীতে যেন এ জেলায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা যায় সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পরে সচিব স্থানীয় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এতে স্মার্ট কৃষক তৈরিতে কৃষি অ্যাপস ব্যবহার ও সুফল বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, ক্রপ জোনিং প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. আবদুস ছালাম, গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন, আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. বিমল প্রামাণিকসহ কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এরপরে কৃষি সচিব আমনুরায় বিনা মসুর-৮ ও বারি সরিষা ১৮ মাঠ পরিদর্শন করেন।