ফয়সাল আজম অপু : আমরা চায়না যেতাম আর দেখতাম চায়নার মজুরী আমাদের বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। চায়না কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেশম উৎপন্ন করে তা আমাদের দেখতে হবে। সরকারের সর্বোচ্চ কর দিয়ে রেশম শিল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তারপরেও আমরা কিন্তু রেশম শিল্পের উন্নয়ন করতে পারছিনা। না পারার কারন গুলো আমাদের খুঁজে দেখতে হবে এবং তার নিরাময় খুঁজে তাঁত শিল্পের উন্নয়ন করতে হবে। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাত্র দুটি জেলায় বেশী রেশম উৎপন্ন হয়। আমার মনে হয়না সরকারের খুব বেশি অর্থ ব্যয় করে উন্নয়ন করতে হবে যাতে করে রাজশাহী শিল্ক টিকে থাকে এ ব্যবস্থা নিবো। রাজশাহী শিল্ক কিন্তু বাংলাদেশের ঐতিহ্য। তাঁত শিল্প এমন একটি ঐতিহ্য এটি একটি বাঙ্গালীর ঐতিহ্য। আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই। যারা তাঁতি তারা যদি লোন চায় তাহলে আরোও লোনের ব্যবস্থা করবো। তাঁতী রিলার ও বসনী সমাবেশে প্রধান অতিথিরর বক্তব্যে এভাবে মন্তব্য করেন বীরপ্রতীক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়ায় ইউনিয়নের লাহারপুরের তাঁতী পাড়ায় সোমবার (১১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁতী, রিলার ও বসনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন;বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের জেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা,বস্ত্র ও পাট মন্ত্রাণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া,বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম,বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ অলিউল্লাহ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ,বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন;চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব,চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আঃ ওদুদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম সরকার,বারোঘরিয়ায় ইউনিয়ের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের,সহকারী কমিশনার আশিস মোমতাজ,সহকারী কমিশনার চন্দন কর প্রমুখ। এসময় জেলার তাঁত,রিলার ও বসনী সমতির পক্ষ থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বরারব স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।