চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ থেকে জেলার মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়াও তৎপর আছে পুলিশ, ডিবি, র্যাব, বিজিবি সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। গত টানা ১৪ দিন লকডাউন ও পরবর্তী বিশেষ বিধিনিষেধ কার্যকর করতে দিনরাত কাজ করে চলেছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ। এবং যৌথবাহিনী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরসহ ৫ থানা এলাকায় একযোগে প্রশাসন মাঠে কাজ করে যাচ্ছে ঝড়, বৃষ্টি, রোদ মাথায় নিয়েই। তাদের এই অবদানের ফলে জেলায় আজ শনাক্তর হার ১১ পারসেন্ট এর আশপাশে। এদিকে ১৩ জুন রোববার বিধি-নিষেধ মেনে চলতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। যারা সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করেছেন জনস্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়েছে। এ দিন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ২৩ জনকে দন্ডিত করা হয়। কালেক্টরেটের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) এইসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন সহায়তা করে। বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে বিধি-নিষেধ কার্যকর করতেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সারাদিন বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মাঝেই মানুষ ঔষধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বের হয়। আমের কারবার স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম, আমের দামও কম। জীবনের প্রয়োজনে দিনআনে দিন খায় পরিবারগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশিত করার কোন বিকল্প নেই। কাজেই প্রশাসন যত নিয়মই করুক না কেন মানুষ সজাগ, সচেতন ও নির্দেশনা না মানলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারার মত অবস্থা হতে পারে ভবিষ্যতে আমাদের।