জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, অপর দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নারিকেল গাছ প্রতীকে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১২৪৫৫ ভোট। জগ প্রতীকে ২১৮০ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন সাবেক শিবির নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৮৪৮৬২ এবং বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৪৪২।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে বিকেল ৩টায় বিভিন্ন অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন। এছাড়াও ১৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় এবার ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৪৩২ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৭৪ হাজার ৬৫ জন।
সীমানা জটিলতায় স্থগিত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ভোটগ্রহণ হয় মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর)। সকাল ৮টা ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ১৫টি ওয়ার্ডের ৭২টি ভোটকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
গত ০২ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৬ অক্টোবর সীমানা জটিলতায় হাইকোর্টে একটি রিটের প্রেক্ষিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী সপ্তম ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৯ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, আপলি নিষ্পত্তি ১৬ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৮ অক্টোবর।