সিলেটের ওসমানীনগরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) এটিএম বুথ ভেঙে ২৪ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় নূর মোহাম্মদ, শামীম আহমেদ ও আব্দুল হালিম নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জানা গেছে, ধৃতরা ভারতীয় টিভি সিরিজ ‘সিআইডি’ দেখে দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির কৌশল শিখেছিলেন। এটিএম বুথ থেকে লুট করা টাকার একটি বড় অংশ তারা জুয়া খেলে খরচ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, চক্রটির প্রধান শামীম আহম্মেদ। ওমান প্রবাসী শামীম বেশ কয়েক বছর আগে দেশে ফেরেন। দেশে এসে তিনি তেমন কোনো কাজ করছিলেন না। প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন শামীম নিয়মিত ‘সিআইডি’ দেখতেন। সিআইডি দেখেই অপরাধের পরিকল্পনা করেন তিনি। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট করা হয়। সিসি ক্যামেরায় কালো রং স্প্রে করা, মুখমণ্ডলে কাপড় পেঁচিয়ে শাবল দিয়ে বুথ ভাঙা, সবই ‘সিআইডি’ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে করা।
তিনি বলেন, আলোচিত এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানী নগর থানায় মামলা হওয়ার পর থানা থেকে ডিএমপির সাইবার ইউনিটের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে ডিএমপির সাইবার ইউনিট। এরপর ঢাকা থেকে নূর মোহাম্মদ নামে এক দরজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে শামীম আহম্মেদ ও আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনা যদিও ডিএমপির মধ্যে না, তারপরও আমরা কাজ করছি। অপরাধীদের জানাতে চাই, দেশের যেখানেই এ ধরনের কাজ হোক, কেউ পার পাবে না। দেশের কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা কাউকে ছাড় দেবো না।’
ডিবি বলছে, ১২ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় মোট ২৪ লাখ টাকা লুট করা হয়। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। টাকার একটি অংশ দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে। এ ঘটনায় জড়িত জহির নামে একজন এখনো পলাতক।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির সাইবার ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, লুট করা টাকা দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের জানিয়েছে। তদন্ত চলছে, সিলেট পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তদন্তের পর তারা আরও বিস্তারিত তুলে ধরবেন।