মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার : আলোচনা সভায় অভিমত ক্ষতিপূরণ দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল ঢাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে হামলা- ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত বরাদ্দের মধ্যেই দিবস পালন করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আবদুল ওয়াহেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেলের

ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবন কাটছে প্রদীপের

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৫ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

শেষ সম্বল বাবার ভিটা। সেখানেই পলিথিনে মুড়ানো ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন বৃদ্ধ প্রদীপ কুমার সাহা (৭০)। ঘরের ভিতর রাত কাটানোর মতো নেই কোন বিছানাপত্র। ঘুমাতে হয় ছনের বিছানায়। বৃষ্টি হলে সেই ঝুপড়ি ঘরে থাকা দুষ্কর। তবুও নেত্রকোনা দুর্গাপুর পৌর শহরের কুল্লাগড়া এলাকায় নিরম্নপায় হয়ে বসবাস করেন করছেন অসহায় প্রদীপ কুমার।জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছর আগে মারা গেছেন প্রদীপ কুমার সাহার বাবা। ১৫ বছর আগে মা। তিন বোন ও

দুই ভাই ছিল তারা। বোনরা থাকেন শশুর বাড়িতে আরেক ভাই নিখোঁজ দীর্ঘদিন ধরেই। এক সময় তাদের অনেক জমি-জমা ও এই ভিটাতেই বিশাল বাড়ি আর সুখের অভাব ছিল না। কিন্তু এখন বাবার ভিটা ছাড়া কিছুই নেই। একটি বিদ্যালয় দেখাশুনা করতেন তার বিনিময়ে তিন বেলা খেতে পারতো। প্রায় বছর খানিক আগে সেখান থেকে বিদায় করে দিলে শুরু হয় মানবেতর জীবন। প্রদীপ কুমার করেননি বিয়ে তাই জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে তাকে দেখার কেউ নেই। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হাত পেতে যা আনে তা দিয়েই দুঃখ-কষ্টে অতিবাহিত হচ্ছে তার জীবন। কখনও কখনও না খেয়েও দিন পার করতে হয় তার।

গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পলিথিনের মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরের ভেতরে শুয়ে থাকতে দেখা যায় বৃদ্ধ প্রদীপ কুমারকে।বৃদ্ধ প্রদীপ কুমার বিলেন, এই ঘরেই থাকি আমি। মানুষ যা দেয় খাই। ঘর পাইলে একটা ভালা হইতো।প্রতিবেশি ইরালাল রাজবর বলেন, প্রদীপ ধনী পরিবারের ছেলে ছিল। কিন্তু এখন আর কিছুই নাই। সে খুবই অসহায় জীবনযাপন করছে। সামনে বর্ষার সময়ে এই ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বে।

অপর প্রতিবেশি রীনা সাহা বলেন, রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের বারান্দায় থাকতেন। এরপর সেখান থেকেও তাড়িয়ে দিলে মাসখানিক আগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তার বাবার ভিটায় ঝুপড়ি ঘর করে দেওয়া হয়। তার জন্য একটি ঘরের দাবি জানাই।দুর্গাপুর ইউএনও এম. রকিবুল হাসান বলেন, আমি খোঁজ নিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com