অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রফিকুল ইসলাম একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান লেখক, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, বাংলা একাডেমির সভাপতি, জাতীয় অধ্যাপক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী যেসব ইতিহাস গ্রন্থিত করেছেন তা বাংলা সাহিত্যের জন্য অমূল্য সম্পদ। নজরুল গবেষণায় ড. মো. রফিকুল ইসলামের অবদান অনন্য। বিশিষ্ট এই গুণী লেখক ও গবেষকের সাহিত্য কর্ম বাঙালি জাতিকে সবসময়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি মনেপ্রাণে জাতির পিতার আর্দশকে ধারণ ও লালন করতেন এবং মুজিববর্ষের নানা আয়োজন সফল করতে দক্ষতার সাথে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বাংলা সাহিত্য ও গবেষণায় তিনি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার মৃত্যুতে আমি আমার শিক্ষক, গুরুজন ও অভিভাবককে হারালাম। বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমার প্রিয় শিক্ষকের উৎসাহ ও প্রেরণা আমাকে সাহস জুগিয়েছে এবং এগিয়ে যেতে শক্তি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রসঙ্গত, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যান রফিকুল ইসলাম। |