বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১১তম আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কৃতী সন্তান ড. মো সফিউর রহমান।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলরুমে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ও ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১১তম আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার হাতে এ পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নারী কমিশনের চেয়ারপারসন লীনা গাঙ্গুলী। সভাপতিত্ব করেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি এ. কে. এম. ফরহাদুল কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো মশিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে সফিউর রহমানসহ নিজ নিজ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন আটজন দেশী ও বিদেশী সম্মানিত ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেনÑ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন (পাবলিক সার্ভিস ক্যাটাগরিতে), প্রফেসর ড. বিদ্যুৎ বরণ সাহা (বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, জাপান), এ এইচ এম শফিউজ্জামান (সেরা সরকারি চাকরিজীবী ক্যাটাগরিতে), ড. এম আব্দুল মোতালেব (বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, যুক্তরাষ্ট্র), প্রফেসর ড. গৌরীশংকর শাহ (বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, ভারত), প্রফেসর ড. এম রফিকুল ইসলাম (বিজ্ঞানী ক্যাটাগরিতে, কানাডা) ও মিতা মুখার্জী (সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে, ভারত)।
ড. মো. সফিউর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি ও এমএসসিতে প্রথম বিভাগ অর্জন করেন। বিএসসি পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য ফলাফলের জন্য তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
২০০০ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে তিনি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৫ সালে NSERC (Natural Sciences and Engineering Research Council) স্কলারশিপ নিয়ে কানাডার ডালহৌসি ইউনিভার্সিটিতে সিভিল অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে এম.এ.এসসি এবং পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচ.ডি গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কানাডার মুসলিম এডুকেশনাল, সোশ্যাল অ্যান্ড নলেজ
ডিজএমিনেশন (এমইএসকে) থেকে তিনি আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১৪ লাভ করেন। ২০২১ সালে ইন্ডিয়া থেকে ইন্টারন্যাশনাল সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ডস অন ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইন্স অ্যান্ড মেডিসিন অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২২ সালে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে বেস্ট সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড টোটো পান ।
তিনি ৮টি বিজ্ঞানবিষয়ক বইয়ের লেখক। জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে তার ১৫০-এর অধিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কানাডা, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ইতালি, ব্রাজিল, স্লোভাকিয়া, চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিক সভা, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণে তিনি অংশগ্রহণ করেন ।