তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক দুরদর্শীতা এবং তার প্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকারের ত্রিমুখী নির্বাচনী কৌশলের কাছে পরাজিত হয়েছে বিএনপি। স্থানীয় সুত্র জানায়, তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেস্টায় প্রায় ডুবন্ত নৌকাকে ভাসিয়ে তানোর পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম বারের মতো জয়ের মুখ দেখলো আওয়ামী লীগ। অথচ নির্বাচনের মাঠে শুরুতে নৌকার কোনো আওয়াজ ও চোখে পড়ার মতো প্রচারণা ছিল না। ফলে নৌকাডুবির আশঙ্কায় নেতাকর্মীরাও ছিল শঙ্কিত। উপজেলা আওয়ামী লীগের কথিত অনেক হেভিওয়েট নেতা নৌকার পক্ষে গণসংযোগ এবং প্রচারণায় নেমেও নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নৌকার পক্ষে মাঠে নামাতে ব্যর্থ হয় এমনকি তাদের পদচারণায় আওয়ামী লীগের সম্ভবনাময় গোছানো ভোটের মাঠ নস্টের অভিযোগ উঠে তৃণমুলে। এদিকে বিষয়টি উপলব্ধি করে স্থানীয় সাংসদ ফারুক চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন তৃণমুলের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করার। ওদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নাও তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদিপ সরকারের প্রচার-প্রচারণা ও প্রচেস্টায় নৌকার পালে হাওয়া লাগে নেতাকর্মীরাও হয় উজ্জ্বীবিত, আওয়ামী লীগে ফিরে প্রাণচাঞ্চল্য। স্থানীয় সাাংসদের পক্ষে তারা প্রার্থীকে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি তৃণমুলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণায় রাতারাতি ভোটের মাঠের চিত্র পাল্টে বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে যায় আওয়ামী লীগ যেখান থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।ময়নার নির্বাচনী কৌশলের কাছে বিএনপির সম্ভবনাময় সাজানো ভোটের মাঠ তছনছ হয়েছে যেখান থেকে বিএনপি আর ফিরে আসতে পারেনি। এক ময়নায় বিএনপির স্বপ্নভঙ্গ ও নৌকা বিজয়ী হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে ভোটের মাঠে ময়না অপ্রতিদন্দি নেতৃত্ব সেটা আবারো প্রমাণ হয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তারা বলছে ময়নার প্রচেস্টায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যেই প্রাণচাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছিল তারই ধারবাহিকতায় নৌকার এমন নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে। এদিকে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্য ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার সৃস্টি হয়েছে। তানোরে ইমরুল হক(নৌকা) ১২ হাজার ৬৩২ ভোট, মিজানুর রহমান মিজান(ধানের শীষ) ৭ হাজার ২১৭ ভোট ও আব্দুল মালেক (নারিকেল গাছ) ২৪৫ ভোট পেয়েছেন। ফলে মোট ৫ হাজার ৪১৫, ভোট বেশি পেয়ে নৌকা প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ইমরুল হক। তানোর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুষ্মিতা রায় জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৬৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩৮ জন এবং নারী ১২ হাজার ৬২৯ জন। ১৩টি ভোট কেন্দ্রে ও ৬৮টি বুথ-এ ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এব্যাপারে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী মেয়র মিজানুর রহমান মিজান (ধানের শীষ) বলেন, আওয়ামী লীগ নয় এমপির রাজনৈতিক দুরদর্শীতা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনী কৌশলের কাছে তিনি পরাজিত হয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়পরাজয় থাকবেই, তবে আগামি দিনেও পৌরবাসীর পাশে তিনি থাকবেন। এব্যাপারে বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের (নৌকা) ইমরুল হক বলেন, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, আগামি দিনে কাজের মধ্যদিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পুরুণ করবেন ইনশাল্লাহ্